স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মঙ্গলবার সকালে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যে ছেলেটা বিকেল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছাল, তাকে ৮টার দিকে নির্যাতন করার জন্য ডেকে নিয়ে গেল। ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালাল, এটা অবশ্যই পরিকল্পিত।’
এদিকে আবরারের চাচা বলেন,‘এ ঘটনায় কোনো নেতার ইন্ধন রয়েছে। কেননা দু-একজন নয়, সেখানে ১৫ জনেরও বেশি ছেলে হত্যায় অংশ নিয়েছে। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া এতজন কাউকে মারতে পারে না। হাইকমান্ডের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’
এদিকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে নিহত আবরার ফাহাদের লাশ কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছালে সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আবরারকে শেষ দেখা দেখতে সেখানে হাজারও মানুষ জড়ো হন। প্রতিবেশী-স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদেরও কাঁদতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোররাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সিড়ি থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করে বুয়েটের ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতিসহ কমিটির ১১ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।