স্বদেশ ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় এক মাস ধরে ইসরায়েলি হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চললেও বিষয়টি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বক্তব্যের শুরুতেই ইসরায়েলে ৭ নভেম্বর হামাসের হামলার প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেছেন, তারাই শতভাগ ফিলিস্তিনি। এদিকে হিজবুল্লাহ প্রধান কী বলেন, সেটি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
লেবাননে অন্যতম রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিধর গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ হিজবুল্লাহকে হামাসের মতোই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে বিবেচনা করে। তবে বরাবরই ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে আসছে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের গোপন হামলায় প্রাণ হারানোর আশঙ্কায় বেশ কয়েক বছর ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।
গাজায় প্রায় এক মাস ধরে নির্বিচারে বিমান হামলা ও এক সপ্তাহ ধরে স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর পর লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা এবং জবাবে ইসরায়েলও লেবানন সীমান্তের কিছু টার্গেটে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হয়নি।
অবশেষে মুখ খুললেন হিজবুল্লাহ প্রধান ও শিয়া ধর্মীয় নেতা হাসান নাসরাল্লাহ। শুক্রবার তার বক্তব্য শুনতে বৈরুতে জড়ো হন হাজার হাজার সমর্থক। প্রথমেই ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালানো হামাসের প্রশংসা করেন তিনি। হাসান বলেন, তারাই শতভাগ ফিলিস্তিনি।
হাসান নাসরাল্লাহর ভাষণ শুরুর আগেই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, লেবানন সীমান্তে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল রিচার্ড হাচ বলেন, আইডিএফ উত্তর সীমান্তে অতি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আমরা প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে আছি।
রিচার্ড বলেন, আমরা লেবাননের লোকজনকে আহ্বান জানাবো হামাসের জন্য নিজেদের ভবিষ্যত বিসর্জন দেবেন না। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিলে হিজবুল্লাহকেও ভয়ানক পরিণতি ভোগ করতে হবে হুশিয়ারি দেন ইসরায়েলের ওই সামরিক কর্মকর্তা।