স্বদেশ ডেস্ক:
গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে জাবালিয়ার কয়েকটি ভবন বিধ্বস্ত এবং অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আল জাজিরা টেলিভিশনের সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের বাবা, ভাই-বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৫দিন ধরে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, শরণার্থী ক্যাম্প কোনো কিছুই।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপাপড়াদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
জাবালিয়ার কাছে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহত হয়েছে বহুসংখ্যক মানুষ।
ইসরায়েল জাবালিয়ায় হামলা সম্পর্কে জানিয়েছে, ওই শরণার্থী শিবিরে থাকা হামাসের কমান্ডার ইবরাহিম বিয়ারিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত ওই কমান্ডার এ অভিযানে নিহত হয়েছেন।
এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাবা, এক ভাই ও দুই বোন সহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান।
আল জাজিরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়ায় একটি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এটি ক্ষমার অযোগ্য কাজ।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, এক ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি ও এক চাচা নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরার গাজার সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নাতি নিহত হওয়ার একদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জাবালিয়ায় হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জাবালিয়ার মতো আশ্রয়শিবিরে অমানবিক হামলার নিন্দা জানায় সৌদি আরব।