স্বদেশ ডেস্ক:
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, তারা রোববার গাজার উত্তরাঞ্চলের অভ্যন্তরে ইসরাইলের সাথে তুমুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে গাজার অবরুদ্ধ হয়ে পড়া বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফের সতর্ক করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহ বিমান হামলার পর ইসরাইল যুদ্ধের এক নতুন ‘ধাপের’ ঘোষণা দিয়েছে। আর এ যুদ্ধ ‘দীর্ঘ ও কঠিন’ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে দিয়েছেন।
রোববার রাতে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তাতে ফিলিস্তিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ট্যাঙ্ক, পদাতিক বাহিনী এবং কামান দেখা যায়।
সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন কমান্ড সেন্টার, পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল লঞ্চ কেন্দ্রসহ ৪৫০টিরও বেশি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার দাবি করেছে।
হামাস বলেছে, তাদের ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড ইতোমধ্যে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
সেখানে ভয়াবহ ডোর টু ডোর যুদ্ধ হতে পারে উল্লেখ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখাপত্র ড্যানিয়েল হাগারি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘নিরাপদ এলাকায়’ চলে যেতে বলেছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা চালানোর কথা জানায় হামাস। সেদিনই ইসরাইল গাজায় পাল্টা বিমান হামলা চালানো শুরু করে। এ হামলা গত ২৩ দিন ধরে অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
ইসরাইলি কর্মকর্তাদের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হামলায় তাদের কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়েছে এবং ২৩৯ জনেরও বেশি লোককে পণবন্দী করে রেখেছে হামাস।
অপরদিকে, গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরাইলের হামলায় ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেক শিশু।
সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি/বাসস