স্বদেশ ডেস্ক:
অভিজ্ঞতাই যে বাংলাদেশ দলের শক্তির জায়গা, আজ আরো একবার তা প্রমাণ হলো। মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ; এই ত্রয়ী আরো একবার বিপদে ত্রাতা। সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে প্রতিরোধের পর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মানবাঁচানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৪৫ রান তুলেছে টাইগাররা।
শুক্রবার বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে একদম প্রথম বল থেকেই বাংলাদেশের বিপর্যয়ের শুরু। চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে আসেন লিটন দাস। কোনো রান যোগ হবার আগে ফেরেন গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে।
শূন্য রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙায় শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী মিরাজ ও তানজিদ তামিম। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলতে থাকেন দুজনে। ৪০ রানের জুটি গড়ে দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর আভাস।
তবে বেশিদূর এগোয়নি তাদের চেষ্টা। ফার্গুনসনের জোড়া আঘাতে ফের পথ হারায় টাইগাররা। অষ্টম ওভারের শেষ বলে তামিমকে ফিরিয়ে ভাঙেন জুটি। আর ১১.৪ ওভারে ফেরান মিরাজকে। ১৭ বলে ১৬ রান করেন তামিম। মিরাজ আউট হন ৪৬ বলে ৩০ করে।
মিরাজ আউট হবার দুই বল পরই ফেরেন চারে নামা নাজমুল শান্ত। ১৩তম ওভারে প্রথম বলেই শান্তকে ৭ রানে ফেরান গ্লেন ফিলিপ। ৫৬ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শঙ্কা দেখা দেয় বড়সড় অঘটনের।
সেখান থেকে অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেন মুশফিক। মুশফিক স্বাচ্ছন্দ্যে খেললেও খুব একটা সাবলীল ছিলেন না সাকিব আল হাসান। শুরুর দিকে প্রতিটা রান নিতে তাকে বেশ কসরত করতে হয়েছে তাকে।
তবে ইনিংসের শেষদিকে এসে নিজেকে ফিরে পান, জোড়া ছক্কায় দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগান। তবে তা সেই পর্যন্তই। ফার্গুনসনের তৃতীয় শিকার হয়ে থামে তার ইনিংস। আউট হবার আগে ৫১ বল থেকে করেন ৪০ রান। ৩০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১৫২।
সাকিব আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ভারত বিশ্বকাপে যা তার দ্বিতীয় ফিফটি। তবে ইনিংসটা শতকে রূপান্তর করতে পারেননি, আউট হন ৭৫ বলে ৬৬ রানে। দ্রুত ফেরেন তাওহীদ হৃদয়ও, সাতে নেমে আউট হন ১৩ রানে। ১৮০ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আটে নেমে মাহমুদউল্লাহ তাসকিনকে নিয়ে চেষ্টা চালান লড়াইয়ের। তাসকিনও নিরাশ করেননি, দুই ছক্কায় ১৭ রান করেব তিনি। সেই সাথে দলকে পৌঁছে দেন দুই শ’র ঘরে। এরপর বলতে গেলে একাই ইনিংসটা আড়াই শ’র কাছাকাছি নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৪১ রানে।