স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কারণেই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সংঘাত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নীতি ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এই সহিংসতার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এর আগে শনিবার সকালে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে সহস্রাধিক মানুষ।
দুই পক্ষের সঙ্গেই রাশিয়া যোগাযোগ রাখছে বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অনেকেই একমত হবেন যে, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নীতির ব্যর্থতার বড় উদাহরণ এই সংঘাত।’
পুতিন আরও বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র একক ভূমিকা রাখতে চায়, কিন্তু দুই পক্ষের স্বার্থ আদায়ের বিষয়টি উপেক্ষা করে। ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিও দেয়নি।’
এই সংঘাত সমাধানে মস্কো ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন পুতিনের এক মুখপাত্র। তবে কীভাবে তারা এই কাজ করবেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এর আগে সংঘাত শুরুর পর এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি বাড়তি বিপদে ভরা এক মুহূর্ত। এটি অবশ্যই আমাদের বিশেষ উদ্বেগের জায়গা।’
মস্কো জানিয়েছে, ১৯৬৭ সালের সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সঠিক সংলাপের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। পেসকভ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যতদ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। সহিংসতা চলতে থাকলে এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের অন্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’