শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কে বেশি লাভবান হয়েছিলেন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কে বেশি লাভবান হয়েছিলেন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ‘মিলিটারি ডিক্টেটর’ জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশ আজ অনেকটাই বদলেছে বলে জানান তিনি।

আজ রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন ও GEMS সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আমরা দুই বোন বিদেশে ছয়টি বছর রিফিউজি হিসেবে থেকেছি। আমরা আমাদের আপনজন হারিয়েছি, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ হারিয়েছিল তাদের সব ভবিষ্যৎ। উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা, ক্ষুধা দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ সবই হারিয়েছিল। কারণ, তখন হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই দেশে ফিরে আসব। আমার মেয়ে তখন মাত্র ৮ বছর বয়সী আর ছেলের তখন ১০ বছর। তাদেরকে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত করে আমি ফিরে এসেছিলাম দেশের মানুষের কাছে। আমি সেই দেশে ফিরে এসেছিলাম যেখানে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার হয়নি, বিচার করা যাবে না।ইন্ডিমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে অপরাধীদের রেহাই দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর যেই মিলিটারি ডিক্টেটর, যে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন, সেই জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান তাদের ভিসাও দেয়নি।’

‘১৯৮১ সালে আমি শুধু দেশে ফিরে আসি একটি লক্ষ্য সামনে রেখে, সেটি হলো এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে’, যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটা উন্নয়ন যেন টেকসই হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশনের পরেও এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। একসময় অনেকে বলেছিল, বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন সম্ভব না। শুনে কষ্ট হতো। কিন্তু পরে জিদ চেপেগেছিল।মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলব, যেন সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে (অংশীদারত্ব) এগিয়ে আসতে পারে। এখন কিন্তু বিদেশিরা সবাই জিজ্ঞাসা করেন যে ম্যাজিকটা কোথায়? তখন বলি, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোলেই জাতিকে উন্নত করা যায়।’

বক্তব্যের শেষে ‘আমাদের একেকজন অফিসার একেকজন রত্ন হিসেবে গড়ে উঠবেন’ এই আশাবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, দেশটা যেন এগিয়ে যায়। আজকে পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন যতটুকু করেছি, সেটা যেন অব্যাহত থাকে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877