স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের দিল্লিতে গত ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে একদিন আগেই হাজির হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপর সম্মেলন শেষের দিনেই ট্রূডোর কানাডায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত ২৪ ঘণ্টা দিল্লিতে অবস্থান করতে হয় ট্রূডো ও তার সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের। সেইসময় বলা হয়, ট্রুডোর উড়োজাহাজে ত্রুটির কারণে তাকে অতিরিক্ত সময় দিল্লিতে অবস্থান করতে হয়েছে।
তবে সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে, এ ঘটনা ট্রুডোর উড়োজাহাজের ‘কারিগরি ত্রুটি’ নাকি ‘নাশকতা’। এনিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন না।
তবে এটি নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন কানাডার এ মন্ত্রী।
গত সোমবার পার্লামেন্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যায় ভারত সরকার জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই দাবি পর ভারত ও কানাডার মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন চরমে।
ইতোমধ্যে দুই দেশই পরস্পরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার কানাডীয় নাগরিদের জন্য ভিসা স্থগিত করে ভারত।