স্বদেশ ডেস্ক:
সরকার নতুন নাটক করছে জঙ্গী নাটক। আরে জঙ্গী নাটক তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ওই জঙ্গী খেলা চলবে না। আওয়ামী লীগের চাইতে বড় জঙ্গী, সন্ত্রাসী দল বিশ্বের কোথাও নেই।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নেন, তখন তারা আর পিছপা হন না। স্বাধীনতা যুদ্ধে পিছপা হযননি, ভাষা আন্দোলনের পিছপা হননি। যে বারেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বারেই তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।
সরকারকে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন,পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, সরকারি কর্মকর্তারা, বিচারক ভাইয়েরা জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না।
সবার উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়ে বলেন, দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। দেখুন কি লেখা আছে? সিদ্ধান্ত নেন। জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে অবস্থান নিবেন না আর নিলে সে দায় আপনাদের ওপর বর্তাবে।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবার সহকারে দলবল নিয়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছেন। কিসের জন্য? গিয়েছেন বিশ্বের সদস্য হবেন। কিন্তু কি হয়েছে? তখন নেতাকর্মীরা বলেন, ভুয়া ভুয়া ভুয়া।
সরকার প্রধানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রত্যেক জায়গায় আপনি প্রত্যাখিত হবেন। সবাই অবৈধকে প্রত্যাখ্যান করবে।
কালো পতাকা মিছিলে আসার নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, একটি ছবি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী গেছেন। কিন্তু ব্রিকস একটি অফিসিয়ালি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে আমাদের এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী নেই। ব্রিকসের এখানে সদস্য হোক আর না হোক সবাই ছবি তুলেছেন। প্রবল মিথ্যাচারের রাজনীতি আর বাংলাদেশে চলবে না।
তিনি বলেন, নতুন নাটক করছে জঙ্গী নাটক। আরে জঙ্গী নাটক তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ওই জঙ্গী খেলা চলবে না। ওই জঙ্গী খেলা বিশ্ববাসী কেউ বিশ্বাস করে না। আবার নাকি জঙ্গী সংগঠন বেড়েছে। আরে আওয়ামী লীগের চেয়ে আর বড় জঙ্গী দল আছে? নেই। আওয়ামী লীগের চেয়ে আর বড় কোনো সন্ত্রাসী দল আছে? নেই। আওয়ামী লীগের চাইতে বড় জঙ্গী সন্ত্রাসী দল বিশ্বের কোথাও নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।