স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক ঘটনা জানি। কখন কী ষড়যন্ত্র হয়? কাকে কোথায় ডেকে নিয়ে আসা হয়? কত কিছু করা হয়! আমাদের নেতাদের ধরে উধাও করা হয়। চার পাঁচ দিন পর বলা হয় উনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছে। তার কয়েকদিন পর থানায় দেয়া হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের কি স্বাভাবিক জীবনযাপন করার কোনো অধিকার নেই?
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘এইবার শেখ হাসিনা যে নির্বাচন দিবে আমাদের চুপ থাকলে হবে না। শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, মিছিল মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে নির্বাচন হতে দিবো না, দিবো না, দিবো না। যতক্ষণ না নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করে। নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই করবে, এটা আমাদের অঙ্গীকার।
রাশেদ খান মেননের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি সম্রাটের মতো আজীবন ক্ষমতা ভোগ করবেন সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন না। আর কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললে রেজিম চেঞ্জের ষড়যন্ত্র পান। আপনারা বিনা ভোটের এমপি, নিশি রাতের এমপি। কয়দিন আগে না মেনন সাহেব আপনি নিজেই বলেছিলেন ’১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয় নাই। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।
রিজভী বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা কেউ বলেছে সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই হোক বা অন্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশ, তখনই সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য খুঁজেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন ড্যান মজিনা। তিনি যখন সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা বলেছেন তখন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, কাজের বুয়া মর্জিনা। উনি যখন দিল্লিতে গেছেন বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে তখন অনেকেই বলেছেন ড্যান মজিনা না কি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য! আজকে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়, তখন ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা নাকি আমাদের সেন্টমার্টিন নিতে চায়। অথচ তারা বলছে, বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজেক্ট নিয়ে গেছে মন্ত্রণালয় থেকে। সে প্রজেক্ট হচ্ছে ৪২ কোটি টাকার। তার কনসালটেন্ট ধরেছে ১৭ কোটি টাকা। তাহলে কাজ হবে কিভাবে?
সাত শ’ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ- এইটা ঢাকার জন্যই তারেক রহমান এবং জুবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।