স্বদেশ ডেস্ক:
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে নিয়ে এবার নতুন তথ্য সামনে এসেছে। এ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে ব্যাপক শোরগোল চলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে প্রিগোজিনের গোপন হারেম ছিল। সেখানে উঠতি বয়সী বা সদ্য ১৮ বছর পেরোনো নারীদের রাখতেন তিনি। খবর ডেইলি মেইলের।
রাশিয়ার নিরপেক্ষ ও অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইনসাইডার জানিয়েছে, ওয়াগনার প্রধান অল্পবয়সী নারীদের পছন্দ করেন। ওয়াগনার প্রধানের কাছে কুমারীত্ব বিক্রি করা এক নারী জানান, প্রিগোজিনের সঙ্গে তিনি যখন শারীরিক সম্পর্ক করেন তখন তার বয়স ১৮ বছর ছিল।
রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। যদিও দুই দিনের মাথায় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় তার অবসান ঘটে। এরপরেই এক মাস পরেই প্রিগোজিনকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো।
দ্য ইনসাইডার আরও দাবি করেছে, বিদ্রোহের আগে প্রিগোজিন সেন্ট পিটার্সবার্গে সোলো সোকোস হোটেলে ভাড়া রুমে অল্পবয়সী তরুণীদের রাখতেন। এদের বয়স ছিল ১৮ বছরের একটু বেশি।
স্থানীয় যৌনকর্মীদের ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি ইনসাইডারকে বলেন, প্রিগোজিন কনডম ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করেছিল কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন এভাবে শক্তি ও তরলের বিনিময় হয়।
সেন্ট পিটার্সবার্গের মাশা নামের এক নারী জানান, ২০১৯ সালে তিনি প্রিগোজিনের কাছে কুমারীত্ব হারান। সেইসময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর। মাশা বলেন, এই ঘটনার পর আমি অনেক হতাশ হয়ে যাই এবং হাসপাতালে যেতে হয়েছে।
মাশা জানান, ওই সময় আমার বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় যাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তার অনেক টাকার দরকার ছিল। সেই আমাকে বলে আমি আমার কুমারীত্ব ৪০ হাজার রুবলে বিক্রি করব কি না? যদিও আমার এতো টাকার দরকার ছিল না কিন্তু আমি রাজি হয়ে যাই।
এদিকে বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা চলেছে। যদিও সবশেষ প্রিগোজিনকে গেল সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবার্গে দেখা গেছে বলে সিএনএনের এক লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।