স্বদেশ ডেস্ক:
অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন রুশ গণমাধ্যম রাশিয়া টুডে’র (আরটি) প্রধান সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ান। একটি নয়া-নাৎসি সংগঠন তাকে হত্যার সর্বশেষ প্রস্তুতিও নিয়ে নিয়েছিল। এমনকি তার বাড়ি ও অফিসে গিয়ে হত্যার রেকিও চালানো হয়। তবে একদম শেষ মুহূর্তে নাৎসিবাদী সংগঠনটির সদস্যদের ধরে ফেলে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি (সাবেক কেজিবি)। এরইমধ্যে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, আরটি প্রধানকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে পাঁচ জনের বয়সই ১৮ বছরের কম। তারা একটি নয়া-নাৎসি সংগঠনের হয়ে কাজ করতো। রুশ গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ওই সংগঠনের নাম ‘প্যারাগ্রাফ-৮৮’। শুধু মার্গারিটাই নন, তারা রাশিয়ার আরেক জনপ্রিয় টিভি হোস্ট ও সাংবাদিক কেসেনিয়া সবচাককেও হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। তাদের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে এই নাৎসিবাদী সংগঠনটি।
এফএফবি এরইমধ্যে তাদের কার্যক্রমের ফুটেজ প্রকাশ করেছে।তাদের কাছ থেকে নাৎসি আদর্শের ওপরে লেখা অনেক বই এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের তরফ থেকে এই হত্যার জন্য ১৬ হাজার ৬২০ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ইউক্রেনীয় নাৎসি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এদের যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, মার্গারিটা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সমর্থক। তিনি প্রায়ই এই অভিযানকে উৎসাহিত করে পোস্ট দেন।
সম্প্রতি তিনি রুশ সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে টেলিগ্রামে লিখেন, ‘এগিয়ে যাও, আমার ভাইয়েরা’। অপরদিকে আরেক সাংবাদিক কেসেনিয়া সবচাক রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক হিসেবেই পরিচিত। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুতিনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও করেছিলেন। তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে তিনি রুশ সরকারের সমালোচনা করে ভিডিও বানান।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে বিষয়টিকে রুশ সরকারের কাজ বলে প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সবচাক যদিও তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য টেলিগ্রামে রুশ গোয়েন্দাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।