স্বদেশ ডেস্ক: পাইলসের কারণে মলদ্বারে ব্যথা ও ফুলে যায়, রক্ত বের হয় এবং মলদ্বারের বাইরে কিছু অংশ ঝুলে পড়ে। আবার ভেতরেও ঢুকে যায়। এটি খুব জটিল রোগ। গুরুত্ব না দিলে ক্রমে কঠিন আকার ধারণ করে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নির্মূল করা যায়।
পাইল দুধরনের। রক্ত ও বায়ুজনিত। রক্ত অর্শের ক্ষেত্রে মলের সঙ্গে রক্ত, হলদে কিংবা লালচে পানির মতো দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থ বের হতে দেখা যায়। বায়োজনিত অর্শে মলের সঙ্গে রক্ত কিংবা লালচে বা হলুদে পানি দেখা না গেলেও মলদ্বারে চুলকানি, অসহনীয় ব্যথা ও কৌষ্ঠকাঠিন্য থাকায় মলদ্বার ফোলা থাকে।
রোগটি হওয়ার কারণ হলো- দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য, বারবার সুতা কৃমির আক্রমণ, অজীর্ণ রোগে বেশিদিন ভোগা, গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে চাপ পড়া, সবসময় বসে বসে কাজ করা, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, কোষ্ঠবদ্ধতার কারণে চাপ দিয়ে মলত্যাগ, রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস এবং বংশগত কারণে এ রোগ হতে পারে। এতে মাঝে মধ্যে মলদ্বার চুলকায়, জ্বালাপোড়া করে, মলদ্বারের রাস্তায় কাঁটা ফোটার মতো অনুভূতি, মলত্যাগের সময় চাপ দেওয়া, কোমর ব্যথা এবং মলত্যাগের সময় রক্তস্রাব হতে পারে।
পাইলস বড় ও বাইরে বেরিয়ে এলে হোমিও ওষুধের মাধ্যমে তা নির্মূল করা যায়। অবশ্য এ জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হয়। অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মাস নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ব্যবহার করতে হয়। রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। এমন খাবার খেতে হবে, যাতে পেট স্বাভাবিক থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়। শাকসবজি, আঁশ জাতীয় খাবার, টাটকা ফলমূল ও ইসুবগুলের ভুসির শরবত উপকারী। নিয়মিত পান করলেও পেট স্বাভাবিক থাকে।