স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে, শুক্রবার সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের অনুগত বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চল কেঁপে উঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ কথা জানিয়েছেন।
বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির সর্বসাম্প্রতিকতম হলো এই এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সোমবার রাতে কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরই এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়। সব কটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিই পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি লাখ লাখ মানুষ
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এবং ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের মতে, ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে, যুদ্ধে ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘ বলছে, সুদানের ১০ লাখের বেশি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তা ছাড়া ৩ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছেন।
জাতিসঙ্ঘ বলছে; এমনকি, সংঘাত শুরু হওয়ার আগে থেকেই, সুদানের সাড়ে ৪ কোটি জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ দুর্ভিক্ষের মোকাবেলা করছিল। আর, এখন প্রায় আড়াই কোটি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
খার্তুম ও দারফুরে লড়াই চলছে
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার বলেছে, পর্যবেক্ষকরা বলেছেন খার্তুম এবং দারফুরের যুদ্ধ চলছে। এ সব লড়াইয়ে কামান, ড্রোন এবং সামরিক বিমান ব্যবহার হয়েছে বলে তারা শনাক্ত করেছেন।
বিশেষ করে দারফুরে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতের কারণে, আগে থেকেই এটি একটি বিধ্বস্ত এলাকা। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিদ্রোহ দমনে ভয়ঙ্কর জানজাওয়েদ মিলিশিয়া বাহিনীকে ব্যবহার করেন। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিও দেখেছে দারফুর।
বুরহানের সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ এর উৎপত্তিও জানজাওয়েদ -এর সাথে যুক্ত।
বুরহান এবং দাগলো ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করে। পরে তারা ক্ষমতার তিক্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন।