স্বদেশ ডেস্ক:
নিউইয়র্ক স্টেটের রাজনীতিতে ৪০ বছরের কম বয়সী ৪০ জনকে স্বীকৃতি দিল অলবেনির অনলাইন সংবাদমাধ্যম সিটি এন্ড স্টেট। এই ৪০ জনের একজন হলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত তরুণ মোহাম্মদ আলম। তিনি হডসন রাস এলএলপির এসোসিয়েট।
মোহাম্মদ আলমের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় একটি ফোন কল। নিউইয়র্কের সিটি কলেজে পড়াকালে তার একজন প্রফেসরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ, কিভাবে রাজনীতির অংগনে নাম লেখানো যায়। প্রফেসর তাকে বলেছিলেন যে কোনো ক্যাম্পেইনে কল করে বলো তুমি তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হতে চাও। ২০১০ সালে তিনি ফোন দেন স্টেট সিনেটর কার্স্টেন জিলিব্র্যান্ডের ক্যাম্পেইনে। অতএব রাজনীতির অংগনে মোহাম্মদ আলমের যাত্রা শুরু।
মোহাম্মদ আলম ম্যানহ্যাটান ইয়াং ডেমোক্রেট হিসাবে যোগ দেন। আস্তে আস্তে তিনি এর প্রেসিডেন্ট হলেন। এরপর তার নজর ইয়াং ডেমোক্রেটস অব আমেরিকার প্রতি। সেখানে তিনি ফার্স্ট ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন। এখন তিনি সংগঠনের ন্যাশনাল ট্রেজারার।
মোহাম্মদ আলম একজন এটর্নি। তিনি জানান, শৈশবে তার নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা ছিল। এখন মনে হয় নিজেকে বড় করে না তুলে যারা পর্দার আড়ালে এবং তৃণমূলে কাজ করে তাদের তুলে ধরতে চাই। সেইসাথে আইনি লেখা লিখতে চাই। আমি ভাল এটর্নি হতে চাই।
তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ তাজবীর আকবর আলম। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এই তরুণের জন্ম নিউইয়র্কে, বেড়ে উঠেছেন ব্রæকলীনে। মোহাম্মদ আলম সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক থেকে পলিটিক্যাল সাইন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব বাফালোর স্কুল অব ল থেকে জুরিস ডক্টর হন। এর আগে থেকেই মূলধারার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে কাজ করেন। যেমন আমেরিকান কন্সটিটিউশন সোসাইটি, ইয়ুথ কাউন্সিল অব দ্য ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি।