স্বদেশ ডেস্ক:
৪৫ বছর বয়সেও হৃদপি- হবে ৩৭ বছর বয়সীদের মতো, ত্বক দেখাবে ২৮ বছরের, ফিটনেট হবে ১৮ বছরের কিশোরদের মতো! অসম্ভব মনে হলেও বাস্তবে তা প্রমাণ করছেন ব্রায়ান জনসন। বুড়ো হওয়া প্রতিরোধ করতে যেসব যন্ত্র ব্যবহার করছেন জনসন, তারই একটি সামনে এনেছেন তিনি। আর জানিয়েছেন, তারুণ্য ধরে রাখতে এ যন্ত্রটি মাত্র ৩০ মিনিটে ‘২০ হাজার সিট-আপের’ সমান ব্যয়াম করার সুযোগ করে দেয়।
গত কয়েক মাস ধরে সামাজিক মিডিয়ায় তোলপাড় করা ৪৫ বছর বয়স্ক জনসনের মাল্টিমিলিয়ন-ডলারের ‘বুড়ো প্রতিরোধ প্রটোকলের’ অংশ হিসেবে ব্যবহৃত যন্ত্রটি সামনে আনেন।
জনসন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চলতি সপ্তাহে যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যায়, শার্টবিহীন অবস্থায় তিনি দেহের মধ্যাংশ যন্ত্রটিতে রেখেছেন। মনে হচ্ছে, যন্ত্রটি তার পেটের মাংসপেশীগুলো মজবুত করছে। তার মতে, এই প্রক্রিয়ায় তিনি তার তারুণ্য ধরে রাখার কাজে অনেকটাই সফল হয়েছেন।
সফটওয়্যার ডেভেলপার জনসন তার পেমেন্ট প্রসেসিং কোম্পানি ব্রাইনপ্রি পেমেন্ট সলিশন নগদ ৮০০ মিলিয়ন ডলারে ইবের কাছে বিক্রি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি এখন ‘বায়ো-হ্যাকিংয়ের’ দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
এই টেক মোগল তার স্বাস্থ্য অটুট রাখার কাজে বছরে দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন। তার দেহকে বুড়ো হওয়া থেকে রক্ষা করতে তিনি ৩০ জন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের একটি দল গঠন করেছেন।
জনসনের দেহ সুরক্ষিত রাখার দর্শনটি বাস্তবায়ন করতে কঠোর নিয়ম মেনে চলেন। পুরোপুরি নিরামিষভোজী জনসন দিনে মাত্র ১,৯৭৭ ক্যালরি গ্রহণ করেন। ব্যায়াম করেন কঠোর সূচি মেনে, ঘুমের বেলাতেও কোনো ছাড় নেই। আর এটাই তাকে ৪৫ বছর বয়সেও ৩৭ বছর বয়সীদের মতো হৃদপি-, ২৮ বছর বয়সীদের মতো ত্বক এবং ১৮ বছর বয়সীদের মতো ফিটনেস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এই হেলথ গুরু জানান, তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো তার মস্তিষ্ক, যকৃত, যৌনাঙ্গ, মলনারীসহ তার সকল অভ্যন্তরীণ অঙ্গ তার কিশোর বয়সের মতো অটুট থাকুক।
জনসন এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমার কথা শুনতে বিস্ময় লাগতে পারে। তবে আমি প্রমাণ করতে চাচ্ছি যে আত্ম-ক্ষতি এবং নষ্ট করাটা অনিবার্য নয়।’
জনসন জনসাধারণের দৃষ্টিতে পড়েন তার গার্লফ্রেন্ডের মামলার পর। অভিনেত্রী তারিন সাউদার্ন তার বিরুদ্ধে করা এক মামলায় অভিযোগ করেন যে তিনি স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন- এমন কথা শুনে জনসন তাদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছেন।
সাউদার্ন অভিযোগ করেন, তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকার সময় জনসন ‘উদ্দেশ্যমুখী’ এবং ‘নিয়ন্ত্রিত’ ছিলেন।
জনসনও পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সাউদার্ন তার মাত্রাতিরিক্ত দাবি পূরণে অর্থ না দিলে জনসাধারণের কাছে উদ্ভট ও রুচিবিগর্হিত অভিযোগ উত্থাপনের হুমকি দিয়েছিলেন।