রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

নিউইয়র্কে আদালতে খুনির উপর চড়াও হলেন নিহতদের স্বজনরা

নিউইয়র্কে আদালতে খুনির উপর চড়াও হলেন নিহতদের স্বজনরা

স্বদেশ ডেস্ক:

একেবারে অকারণে নিরীহ কাউকে খুনের শিকার হতে হলে তার স্বজনদের কেমন লাগে? কত কষ্ট যে তাদের ওপর চেপে বসে আছে, সেটা নতুন করে জানা গেল নিউইয়র্ক সিটির এরিক কাউন্টি আদালতে। যে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীর গুলিতে ১০ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল, তাদের অনেকের স্বজনরা কাছে পেয়ে আদালত কক্ষেই তার ওপর চড়াও হন। একজন তো তাকে গলা টিপে হত্যার কথাও জানালেন। বাফেলো শুটিং নামের ওই হত্যাকা-ের জন্য বন্দুকধারী পেটন গেন্ড্রনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগেই হত্যার শিকার কয়েকজনের স্বজনরা ১৯ বছর বয়স্ক ওই খুনির ওপর চড়াও হয়। গেন্ড্রনকে বারবারা ম্যাপস নামের এক স্বজন বলেন, ‘তুই আমার বোনকে খুন করেছিস।’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে টপস ফ্রেন্ডলি মার্কেটসে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী গেন্ড্রন নির্বিচারে যে ১০ জনকে হত্যা করেছিল, তার মধ্যে ম্যাপসের ৭২ বছর বয়স্কা বোন ক্যাথেরিন ম্যাসেও ছিলেন। হামলায় হতাহতদের বেশির ভাগই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ।

শোকাহত ম্যাপস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই তোকে গলা চেপে ধরতে, তোর গলায় আমার আঙুলের ছাপ দেখতে চাই।’

ম্যাপস যখন খুনির দিকে চিৎকার করছিলেন, তখন আদালতে উপস্থিত আরেক ব্যক্তি তার দিকে ছুটে যান। তার লক্ষ্য ছিল খুনিকে আক্রমণ করা। তবে তার আগেই তাকে থামানো হয়। তিনি জোরে জোরে বলতে থাকেন, ‘তুই কি জানিস, আমাদের অবস্থা এখন কেমন?’

পুলিশ তাকে থামায়। তবে এর মধ্যে আরেক স্বজনও তার ক্রোধ ব্যক্ত করেন। আরেক স্বজন বলেন, ‘আমি কি তোকে ঘৃণা করি? না। আমি কি চাই, তুই মারা যাস? না। আমি চাই, তুই বেঁচে থাক। আমি চাই তুই তোর জীবনের প্রতিটি দিন এ নিয়ে চিন্তা কর।’

পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলে বিচারক সুসান ইগ্যান বলেন, ‘আমি ক্রোধের বিষয়টি বুঝি… তবে আমরা আদালতে এমন অবস্থা হতে দিতে পারি না।’ গেন্ড্রনকে খুন ও ঘৃণা-প্ররোচিত সন্ত্রাসের জন্য অভিযুক্ত করে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877