সোমবার, ০৩ Jun ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করে, কে জিতবে তা নয় : রাষ্ট্রদূত হাস

যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করে, কে জিতবে তা নয় : রাষ্ট্রদূত হাস

স্বদেশ ডেস্ক:

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন যে যদিও পরবর্তী সংসদ নির্বাচন বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত, তবে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন প্রক্রিয়ায় আগ্রহী, কে জিতবে বা হারবে তাতে নয়।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কঠোর আইনের কারণেই নয়, গণমাধ্যমের মালিকানা ও এটি সাংবাদিকদের কাজকে কিভাবে প্রভাবিত করে তার আলোকে বাংলাদেশে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে সে বিষয়ে সম্পাদকরা রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলেন।

সভা সঞ্চালনা করেন পরিষদের সভাপতি, ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। হাস জোর দিয়ে বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের কোনো একটি দলকে অন্য দলের বিপরীতে পক্ষপাত করে না। এ সময় তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সকল সংস্থাকে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত অবশ্য ইঙ্গিত করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও অধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে স্বচ্ছ হওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ ও বিতর্ক রয়েছে, এক কথায় বলা যায় জবাবদিহিতা। সেগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য সংস্থা রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হাস বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে কোনো দেশই আজ আগের চেয়ে ভালো নয়। বরং কিছু দেশ বেশি প্রভাবিত হয়েছে।

তিনি মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উতরে যাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কের বৈদেশিক সাহায্য/ সরকারি উন্নয়ন সহায়তার (ওডিএ) বিষয়েও কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন অবকাঠামো, উদ্ভাবন ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রদান করে। তবে এটি জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) এর মতো কিছু একই নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখান থেকে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে বাদ পড়েছিল।

রাষ্ট্রদূত ব্যাখ্যা করে বলেন, যদিও রানা প্লাজার ঘটনার পর থেকে শ্রমিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, সামগ্রিক শ্রম অধিকার পরিস্থিতি এই সুযোগ-সুবিধাগুলো অর্জন বা প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।

তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অদূর ভবিষ্যতে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনার অভাব থাকা সত্ত্বেও দরজা খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত স্পষ্টভাবে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে তাদের জীবনের ঝুঁকি ছাড়াই ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে না, যদিও তাদের প্রত্যাবাসন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো আশা ছাড়াই তারা হতাশার মধ্যে নেই।’

সভায় সঞ্চালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন ও ঢাকা ট্রিবিউনের সহযোগী সম্পাদক আবু সাঈদ আসিফুল ইসলাম।

সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877