স্বদেশ ডেস্কু:
মিয়ানমারের সম্মতির পর আজ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা থাকলেও এখনো তা শুরু হয়নি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও আজ শুরু হচ্ছে না রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকার দেওয়া ২৯৫ রোহিঙ্গা পরিবারের কেউ স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসনের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। বিকেল পর্যন্ত তাদের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করা হবে।
রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হলে বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম মৈত্রী সেতু দিয়ে ৩০০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে মিয়ানমারও এসব রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচটি বাস ও তাদের মালামাল পরিবহনের জন্য তিনটি ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে আজও প্রত্যাবাসন আটকে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব, নিরাপত্তাসহ কমপক্ষে চারটি শর্ত দিচ্ছেন কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
মিয়ানমারের পাঠানো তালিকা ধরে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সাক্ষাৎকারে বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গারা এই মনোভাবের কথা জানান।
তারা বলছেন, মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে তাদের নাগরিকত্ব, জমি-জমা ও ভিটেমাটির দখল, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।