সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জার সেই হার, ১০ মাসে ভারতের উন্নতি নাকি অবনতি!

পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জার সেই হার, ১০ মাসে ভারতের উন্নতি নাকি অবনতি!

স্পোর্টস ডেস্ক:

আজ শনিবার পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের। এবারের আসরটি অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ ফরম্যাটে। তাই তুলনামূলক একটি বেশিই উত্তেজনা ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা। তবে সমর্থকদের বেশি আগ্রহ রোববারের ম্যাচটি নিয়ে। কারণ ওই দিন একই সময়ে মাঠে নামবে ভারত এবং পাকিস্তান। একে অপরের বিরুদ্ধে নামার আগে দেখে নেয়া যাক দুই দলের পরিসংখ্যান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবাইয়ের মাটিতেই ভারতকে হারতে হয়েছিল ১০ উইকেটে। সেই মাঠেই ফের মুখোমুখি দুই দল। মাঝের ১০ মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের পরিসংখ্যান কী বলছে? পাকিস্তান দলই বা কেমন খেলেছে তাদের ম্যাচগুলোতে? কোন কোন ক্রিকেটারের দিকে রাখতে হবে নজর?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হারের ম্যাচের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। এর মধ্যে ২২টি ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। পাকিস্তান খেলেছে ১২টি ম্যাচ। জিতেছে ১০টি।

ভারতের এই ২৮টি ম্যাচের মধ্যে সব থেকে বেশি রান করেছেন রোহিত শর্মা। তিনি ২০টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৬২৩ রান। গড় ৩২.৭৮। সূর্যকুমার যাদব এই তালিকায় রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তিনি ১৮টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৫২২ রান। গড় ৩৭.২৮। তৃতীয় স্থানে থাকা শ্রেয়াস আয়ারকে যদিও এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি। তিনি ১৭টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৪৭৯ রান। গড় ৩৯.৯১।

বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। এশিয়া কাপে তার ওপরেই ভরসা রাখছে ভারত। ২০টি ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন ২৩টি উইকেট। চোটের জন্য হর্ষল পটেল নেই। তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। ১৭টি ম্যাচ খেলে ২৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। যুজবেন্দ্র চহাল ১৩ ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।

পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রান এসেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তিনি ১২টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৫১৮ রান। গড় ৪৭.০৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবর আজম ১২ ম্যাচে করেছেন ৪১৪ রান। গড় ৩৪.৫০। তৃতীয় স্থানে ফখর জামান। ১১ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৩২ রান। গড় ২৫.৭৭।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি উইকেট মোহাম্মদ ওয়াসিমের। ৭ ম্যাচে তার সংগ্রহ ১৫টি উইকেট। চোটের কারণে দল থেকে শেষ মুহূর্তে ছিটকে গেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাদাব খান ১০ ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা হারিস রউফ ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩টি উইকেট।

শেষ ১০ মাসে দুই দলের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার ফারাক অনেকটাই। নিজেদের ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে দুই দলই। কিন্তু এখনো পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোট ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। এর মধ্যে ৬টি ম্যাচে জিতেছে ভারত। দু’টিতে জিতেছে পাকিস্তান। একটি ম্যাচ টাই হয়েছে। বোল-আউটের পর সেই ম্যাচ জেতে ভারত।

গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ বাদ দিলে বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে কখনো হারাতে পারেনি পাকিস্তান। রোববার এশিয়া কাপের লড়াইয়ে নামতে চলেছে দুই দল। সেই ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে দুই দেশের সমর্থকরা।

সূত্র : আনন্দবাজার

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877