স্বদেশ ডেস্ক: টিকটক ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার বিষয়টি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। আর এ টিকটক ভিডিও করতে গিয়ে সিলেটে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া দুই বন্ধুর একজন এখনো নিখোঁজ। ঢাকা থেকে আসা ডুবুরি দল নিখোঁজ তরুণের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। ১২ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে সুরমা নদীর ওপর টুকেরবাজার তৃতীয় শাহ ালাল সেতু থেকে মিলন আহমদ (১৮) ও আবদুস সামাদ (১৮) নামের দুই বন্ধুর ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেকেই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়েছেন। চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটক নিয়ে বিতর্কও রয়েছে বিশ্বব্যাপী। পর্নোগ্রাফি ছড়ানো ও অপসংস্কৃতির কথা বলে এটা এ বছরের এপ্রিলে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। তবে আদালতের নির্দেশে কয়েক দিনের মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, সিলেটে দুই বন্ধু টিকটক ভিডিও করতে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন নদীতে। এ সময় মিলন আহমদ সাঁতরে নদীর কূলে ফিরতে পারলেও ¯্রােতের টানে ভেসে যান আবদুস সামাদ। তিনি এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজ সামাদ বাগবাড়ি এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে। স্থানীয় ও দমকল বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সামাদ, মিলন ও আরেক বন্ধু মিলে টুকের বাজার এলাকার তৃতীয় শাহজালাল সেতুতে যান। এ সময় সামাদ ও মিলন টিকটক ভিডিও করতে এবং নিজেদের মধ্যে বাজি ধরে সেতু থেকে লাফ দেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা অপর বন্ধু ভিডিও ধারণ করেন। একপর্যায়ে মিলন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও সামাদ নদীর প্রবল ¯্রােতে তলিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন মিলনকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলেও অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় এবং ¯্রােতের কারণে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেননি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো জেদান আল মুসা জানান, নিখোঁজ সামাদকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সিলেট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন কর্মকর্তা যীশু তালুকদার জানান, আলোস্বল্পতা এবং প্রবল ¯্রােতের কারণে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।