রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!
গুগল ব্যক্তিগত কথাও শোনে!

গুগল ব্যক্তিগত কথাও শোনে!

ফোনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কিংবা গুগলের হোম স্মার্ট স্পিকার ব্যবহার করে থাকলে নিশ্চিত থাকতে পারেন, গুগল কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির হোম স্মার্ট স্পিকার ও গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে আপনার সব কথাই রেকর্ড করেছে, কিছু কিছু রেকর্ড তারা শুনেছেও। অবিশ্বাস্য হলেও তা সত্যি এবং গুগল তা স্বীকারও করে নিয়েছে যে, তারা আপনার ব্যক্তিগত কথাবার্তা শোনে!

ভয়ঙ্কর এ খবরটি প্রথম প্রথম বেলজিয়ামের পাবলিক ব্রডকাস্টার ভিআরটি প্রকাশ করে। তারা ডাচ ভাষায় রেকর্ড হওয়া কিছু অডিও প্রকাশ করে। তার পরই গুগল স্বীকার করে নেয় যে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-অ্যাসিস্ট্যান্সে রেকর্ড হওয়া কণ্ঠস্বর তারা শুনে থাকে। ভিআরটি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সচেতনভাবে রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর শোনে গুগল। কিন্তু তারা এমনও কথাবার্তা শোনে, যা কখনো রেকর্ডই করা হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে এসব কথাবার্তার মধ্যে খুব সংবেদনশীল তথ্যও থাকে।

গুগলের প্রডাক্ট ম্যানেজার অব সার্চ ডেভিড মনসেস কোম্পানির একটি ব্লগে স্বীকার করে নিয়েছেন, তাদের ভাষা বিশেষজ্ঞরা সারাবিশ্বে রেকর্ড করা এসব কথা শোনেন। ভাষাপ্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য এটা করা হয় বলে দাবি করেন ডেভিড।

গুগলের দাবি, যেসব অডিও রেকর্ড হয় তার মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশই শোনা হয়। এই অডিও ক্লিপিংগুলো নাকি তারা রেকর্ড করে বক্তার পরিচয় ধরে না রেখে। ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে গুগল। ভিআরটি বলছে, ফোন ব্যবহারকারীদের নাম, বাড়ির ঠিকানা, পরিবারে অন্য সদস্যদের নামের মতো ব্যক্তিগত তথ্যও থাকে গুগলের কাছে। ফলে কোন কথাটি কে বলছে, সে তথ্য গুগলের কাছে থাকছেই। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট চালু করতে গেলে বলতে হয় ‘ওকে গুগল’, অথবা বোতাম টিপতে হয়। যদিও সংখ্যায় খুব কম, তাও গুগল স্বীকার করেছে অনেক ক্ষেত্রে ‘ওকে গুগল’ না বলা সত্ত্বেও শব্দ রেকর্ড শুরু হয়ে যায়।

গুগলের দাবি হচ্ছে, অনেক সময় প্রচুর নয়েজ বা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে অটো রেকর্ড চালু হয়ে যায়। চলতি বছরের শুরুর দিকে অ্যামাজন স্বীকার করে, ‘খুব কম পরিমাণ নমুনা’ তারা শোনে। অ্যামাজনের অ্যালেক্সা সিস্টেম ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিষেবা দেয়। অ্যামাজন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল, কারণ মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গ জানায়, বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার অ্যামাজনের কর্মী অ্যালেক্সা ব্যবহারকারীদের বাড়ির ও অফিসের কথাবার্তা শোনে। তার পরই অ্যামাজনকে এই স্বীকারোক্তি দিতে হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877