স্বদেশ ডেস্ক: জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণাধীন সাংস্কৃতিক পল্লীর অবকাঠামো এখন দৃশ্যমান। ভূগর্ভস্থ সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জাদুঘরের উপরের চারতলায় নির্মিত শহীদ মিনারের পাদদেশে এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পল্লীর নাম দেয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী’। আট একর জায়গাজুড়ে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সাংস্কৃতিক পল্লীটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে এটিই হবে দেশের প্রথম এবং একমাত্র সাংস্কৃতিক পল্লী। এই বিশাল এলাকাজুড়ে এখন চলছে নির্মাণ কর্মযজ্ঞ। এখানে সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে। শহরের নানা এলাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের এলোমেলোভাবে সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবর্তে তাদের দেয়া হবে একটি বহুতল ভবনের বেশ কয়েকটি করে কক্ষ। শহরের ঘর ভাড়া নিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন না চালিয়ে তারা পাবে এসব কক্ষের বরাদ্দ।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক ও সাংবাদিক সুশান্ত কানু, সঞ্চারি সংগীত বিদ্যালয়ের সভাপতি সেলিনা বেগম, লালন একাডেমির সভাপতি ইউসুফ আলী, মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, কবি ও সাংবাদিক সাজ্জাদ আনসারী বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে জামালপুর সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম জেলা। এখনও এই জেলার আনাচে-কানাচে রয়েছে সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন মাধ্যমের নিয়মিত চর্চা। এসব বিচ্ছিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রগুলোকে একই অঞ্চলে জায়গা করে দিতে জামালপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম সাংস্কৃতিক পল্লী ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী’।
জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রের দয়াময়ী এলাকায় এই সাংস্কৃতিক পল্লীতে থাকবে মুক্তমঞ্চ। ১০ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনে বরাদ্দ থাকবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কক্ষ। আরও থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলনের অমর প্রতীক শহীদ মিনার, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের ধারক যাদুঘর ও মিলনায়তন। এছাড়া বিনোদনের জন্য দৃষ্টিনন্দন লেক যাতে থাকবে প্যাডেল বোট, বৈদ্যুতিক চরকি, পানির ফোয়ারাসহ রেস্তোরাঁ আর হাটার পথ। জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জানান, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীতে সাংস্কৃতিক কর্মকা- ছাড়াও এখানে থাকবে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার সুযোগ। ফলে এই জেলার সাধারণ মানুষের চিত্তবিনোদন ছাড়াও এখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য এই সাংস্কৃতিক পল্লীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।