স্বদেশ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী মিথিলা ও নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমির অন্তরঙ্গ ছবি সোমবার সন্ধ্যা থেকেই ভাইরাল হয়েছে। এসব ছবিতে তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে। বিষয়টি এরইমধ্যে শোবিজের অন্যতম আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এরইমধ্যে জানা গেছে, ফাহমির ফেসবুক পেজটি হ্যাক হয়েছে। সেখান থেকেই ছড়ানো হয়েছে ছবিগুলো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুকে পোস্টে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন মিথিলা। তিনি লিখেছেন, কী ঘটেছে তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে আসিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কিছু ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে যা হয়েছে, সেই সম্পর্কে নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে চাই।
এসব ছবির কিছু বাস্তব, কিছু মনগড়া। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে কিছু অপরাধী প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এগুলো অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে। ফাহমির ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়েছিল। তখনই অপরাধীরা খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য এগুলো খুঁজে নিয়েছে। আমরা একটি সম্পর্কে ছিলাম। সহজভাবে বললে দুটি মানুষ একে অপরের সঙ্গে জড়ালে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটায়, ছবি তোলে। প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা এগুলো ভাগ করে নেয়। তবে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারার দায় আমারই। ছবিগুলো নিয়ে আমি লজ্জিত নই। বরং লজ্জিত এই ভেবে যে, দেশের কিছু কুৎসিত মানুষ আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইচ্ছেমতো পোস্ট ও শেয়ার করছে। আমার খ্যাতি ও ভাবমূর্তিকে অসম্মান করে তারা সাবস্ক্রিপশন বাড়াচ্ছে ও নানান খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভার্চুয়ালি আমাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমার লজ্জা হয় সেসব নিউজ পোর্টালের প্রতি যারা আমার অনুমতি ছাড়াই আমাকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে। ঘরে-বাইরে, ভার্চুয়াল জগতসহ সর্বত্র নারীদের যৌন হেনস্তা করা হলে একইভাবে লজ্জিত ও ক্ষিপ্ত হই। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার সম্মান ও মর্যাদা শুধু আমার আকার আর পোশাকের কিংবা ব্যক্তিগত ছবির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনে কঠোর পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও শিক্ষার মাধ্যমে সব অর্জন করেছি। আমার অতীতের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো চুরি করে কিছু অপরাধীর কুকর্মের কারণে এসব ভেঙে যাওয়ার মতো ঠুনকো নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যারা আমার মান-সম্মান নিয়ে খেলেছে সেই দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে ছাড়বো। শপথ করছি, নিজের জন্য এবং হ্যাকার ও সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া সবার জন্য লড়বো।