স্বদেশ ডেস্ক:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে লবিং করবে বিএনপি। একই সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গতকাল শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় তার মুক্তি নিয়ে বিএনপি বেশ চিন্তিত। এই অবস্থায় সমঝোতা করে হলেও চিকিসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চায় দলটি।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না, এই সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আসলে প্যারোলের ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহন করিনি। ঈদের পর খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন আরও বেগবান করতে বিভাগীয় সমাবেশগুলো দ্রুত শুরু করা হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব রাখছি সরকার ডেঙ্গু চিকিৎসায় জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকী দেবে এবং ডেঙ্গু জ্বর বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিল ব্যবহার করাটা অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি এবং সরকারের উচিত হবে আরো ফান্ড যোগাড় করে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।’ হাসপাতালগুলোতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহানগরীর কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
নয়াপল্টন বিএনপি অফিস থেকে অনলাইনে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের সহযোগিতায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সেখানে থেকে অনলাইনে ডেঙ্গু রোগীদেরকে ডাক্তাররা পরামর্শ দেবেন।’
আগের দিনের জরুরী অবস্থা জারির ঘোষণার দাবির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মিনিংটা হচ্ছে, বড় আপদ বলে আপদকালীন জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি কথাটা বলেছিলাম।’
সরকার ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এটা এখন ৬৪ জেলায় চলে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে ব্যবস্থা দরকার ছিলো সে ব্যবস্থা সরকার নিতে পারেনি। অর্থা মশা মারার জন্য যে ঔষধ যেটা তারা আনতে পারেনি এবং এতো অল্প সময়ের মধ্যে আমদানি করার সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’
বন্যা পরবর্তী দূর্গতদের মধ্যে ড্যাব দূর্গত এলাকায় ঔষধ-পত্র বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের কৃষি পূর্ণবাসনের জন্য দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট কার্ডের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটিকে বিশ্বব্যাংক কালো তালিকাভুক্ত করেছে দুর্নীতির কারণে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছ থেকে একটা পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দাবি করছি।’
বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিস্তারিত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের এই বৈঠকে আরও অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।