স্বদেশ ডেস্ক: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের ছয় নম্বর আসামি রাব্বি আকনের সাত দিনের রিমান্ড এবং সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাইমুনের চতুর্থ দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো: হুমায়ুন কবির জানান, আদালতে হাজির করে রাব্বি আকনের ১০ দিনের এবং সাইমুনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের উল্লেখিত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের চেকপোস্ট
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যার পর দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা পুলিশের চেকপোস্ট দিয়ে মোড়ানো রয়েছে পুরো বরগুনা। এতে বন্ধ হয়েছে মাদক ব্যবসা। সব যানবাহনে চেকিংয়ের ফলে মাদক কারবারিদের আনাগোনা নেই বললেই চলে শহরে। এতে স্বস্তিতে রয়েছে বরগুনার সাধারণ জনগণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনা জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে টাউনহল বাসস্ট্যান্ড-পুরাকাটা, বরগুনা-বেতাগী-বরিশাল-নিশানবাড়ীয়া-বড়ইতলা-পরীরখাল-কালীবাড়ি-স্টেডিয়াম এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সব যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করে পুলিশ। এতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শহরের যানজট ও মাদক ব্যবসা।
বরগুনার ডৌয়াতলা এলাকার বাসিন্দা সোহাগ জানান, কিছুদিন আগেও আমাদের এলাকায় নিত্যনতুন লোক মোটরসাইকেলে এসে মাদক সরবরাহ করে দ্রুত বেগে তারা চলে যেতো। এখন রাস্তায় চেকপোস্ট থাকার কারণে এ এলাকায় কোনো মোটরসাইকেল আসে না। মাদক ব্যবসায়ীরাও রয়েছে চরম আতঙ্কে।
বরগুনা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন বলেন, মাদক বহন ও বিক্রি থামাতে এমন অভিযান ও চেকপোস্ট সবসময় অব্যাহতভাবে চলবে। রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের সব ধরনের অভিযান রয়েছে। হত্যা মামলার আসামি যারা এখনো ধরা পড়েনি তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।