স্বদেশ ডেস্ক: সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক দশক ধরে তার ‘ফিন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার’ ফর্মে তার নিট সম্পদের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে দেখিয়ে নানা সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। বুধবার আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প একটি বছরেই অতিরঞ্জিতভাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার আয় দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার কোম্পানি ট্রাম্প অর্গ্যানাইজেশন এবং তার দুই সন্তান এরিক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের বিরুদ্ধে ‘অবাক করা’ প্রতারণাবিষয়ক ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলার অংশ করার জন্য বিচারকের কাছে নতুন দাবি নিয়ে আর্জি দাখিল করেছেন জেমস। এক দশক ধরে সম্পদ বাড়িয়ে দেখানোর কথিত মিথ্যা দাবি করে ট্রাম্প, ৭৭, অনুকূল শর্তে ঋণ ও বিমা সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে আদালতে দাখিল করা নথি অনুযায়ী, ট্রাম্পের সত্যিকারের সম্পদের পরিমাণ ১৭ থেকে ৩৯ ভাগ, তথা ৮১২ মিলিয়ন ডলার থেকে ২.২ বিলিয়ন ডলার। তিনি ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আর্থিক অবস্থা নিয়ে বার্ষিক যেসব প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তার চেয়ে এটি অনেক কম। আদালতে দাখিল করা নথিতে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ট্রাম্পের ‘ডিসক্লোজার ফর্মে’ তার সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৫.৭৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাস্তবে তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২.২ বিলিয়ন ডলারের কম। এই মামলার বিচার শুরু হওয়র কথা অক্টোবরে। তবে জেমসের অফিস থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে বিচারক অন্তত একটি প্রতারণা মামলার ব্যাপারে আরো আগেই রায় ঘোষণা করতে পারেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সম্পদের পরিমাণ নিয়ে আরো কিছু প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ট্রাম্প বলেছেন যে তার ৪০ ওয়াল স্ট্রিট প্রপার্টির দাম ২০১৩ সালে ছিল ৫৩০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এজি অফিস থেকে বলা হয়েছে, এর এক বছর আগে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২০ মিলিয়ন ডলার। এসব অভিযোগের ব্যাপারে ট্রাম্পের আইনজীবীদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত...
ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা ফোবানায় এবারও ঐক্য অধরা থেকেই গেলো। নতুন প্রজন্ম এবং প্রবাসী নানা পেশা ও শ্রেণীর বাংলাদেশিরা এবার অন্তত ফোবানা সম্মেলন ঐক্যবদ্ধভাবে হবে এমন প্রত্যাশা করলেও সে আশায় গুড়ে বালি হয়েছে। ফোবানা সৃষ্টির ইতিহাসে এবারেই সবচেয়ে বেশি সম্মেলন হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি সম্মেলন হচ্ছে কানাডায় আর একটি হচ্ছে টেক্সাসের ডালাসে। আজ শুক্রবার সম্মেলনগুলোর পর্দা উঠছে। ফোবানার এমন অনৈক্য এবারও হতাশ করেছে বাংলাদেশিদের। কানাডার টরেন্টো শহরে এগলিন্টন এন্ড ডন ভ্যালি পার্ক হাইওয়ের কর্ণারে ডন ভ্যালি হোটেল কেন্দ্রিক ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ সোসাইটি এস সি। রাসেল রহমান হচ্ছেন এই সম্মেলনের আহ্বায়ক। গিয়াস আহমেদ এই সম্মেলনের চেয়ারম্যান এবং কার্যত তার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে ডন ভ্যালি হোটেলে তিনদিনব্যাপী ফোবানা সম্মেলন। ফোবানার এই সম্মেলনের নির্বাহী সদস্য সচিব হচ্ছেন খোকন রহমান। অপরদিকে টরেন্টো শহরেই কানাডিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি আরেকটি সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন। আবুল আজাদ এই সম্মেলনের আহ্বায়ক। নিউইয়র্কের আলী ইমাম শেরাটন সেন্টার সম্মেলনের চেয়ারম্যান এবং শাহনেওয়াজ মেম্বার সেক্রেটারি। তবে শাহ নেওয়াজেই এই সম্মেলনের মূল ব্যক্তি। এদিকে কানাডায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যতম শহর মন্ট্রিয়লে ৩৭তম ফোবানার অরো একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় শেরাটন নাভাল হোটেলে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়েল। দেওয়ান মনিরুজ্জামান মন্ট্রিয়েল সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং চেয়ারম্যান ফ্লোরিডার আতিকুর রহমান। ফোবানার অপর দুটি ভগ্নাংশ টেক্সাসের ডালাস শহরে আয়োজন করছে পৃথক দু’টি সম্মেলন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস-বান্ট একটি সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন। হাসমত মোবিন এই সম্মেলনের আহ্বায়ক। ১৯৮৭ সালে একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ, উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন নিয়ে ফোবানার পথ চলা শুরু হয়েছিলো। লক্ষ্য ছিলো উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির ধারা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে জাগরুক রাখা। দেশ ও প্রবাসের মাঝে সেতু বন্ধন সৃষ্টি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানাবিধ সমস্যা চিহ্নিত করে সম্মিলিতভাবে তা সমাধানে ব্রতী হওয়া ইত্যাদি কল্যাণকর কর্মকা- চালানো। মোটকথা ফোবানার উদ্যোগ আয়োজনই ছিলো বাংলাদেশিদেরকে ঘিরে। ১৯৮৭ সালে ফোবানা প্রতিষ্ঠা ছিলো সময়োচিত। তৎকালীণ বাংলাদেশি কমিউনিটির চাহিদা ও সময়ের দাবির প্রেক্ষিতেই তখন গোড়াপত্তন ঘটেছিলো ফোবানার। আজকের বাংলাদেশি কমিউনিটির চাহিদা পূরণের ধারে কাছেও নেই ফোবানা। নূতন প্রজন্মের কথা বলে তাদের সাথে করা হচ্ছে বাহাস । ফোবানা সম্মেলনেই একসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, ঔপন্যাসিক, নামকরা শিল্পী এবং প্রবাসের মূলধারার রাজনীতিবিদরা অংশ নিতেন। এখন তেমনভাবে তা হয় না। এখনো সময় আছে নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল বন্ধ করে, একই ছাতার নিচে আসার। গিয়াস আহমেদের সংবাদ সম্মেলন ফোবানা সম্মেলনের সর্বশেষ প্রস্তুতি, আলী ইমাম ও শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন ফোবানা নিয়ে গত ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাতে গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ, ডা. মাসুদুর রহমান, আবু জোবায়ের দারা, আসেফ বারী টুটুল, খন্দকার ফরহাদ, মোহাম্মদ মহসীন, আজাদ হোসেন, কাজী তোফায়েল ইসলাম, মফিজুর রহমান রুমি, রিয়াজ রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস আহমেদ বলেন, গত ২৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে আলী ইমাম, শাহ নেওয়াজ এবং মোহাম্মদ হোসেন খানরা মিথ্যাচার করেছেন। ১৯৮৮ সাল থেকে কমিউনিটি এবং ফোবানার সঙ্গে জড়িত। অনেকে তখন কমিউনিটিতেও ছিলেন না। গত বছরের আগের বছর ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলন আমরা দিতে না করেছিলাম, কিন্তু তারা দিয়ে সেখান থেকে অপমান হয়ে এসেছেন। সেই সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা ছিল। মোহাম্মদ হোসেন খানরা পুরো কমিটি না করে ১৩ সদস্যের কমিটি করেছিলেন এবং বলেছিলেন নিউইয়র্কে এসে পরবর্তী নাম সংযোজন করবেন। কিন্তু ওয়াশিংটন থেকে আসার পর তিনি কোনো মিটিংই করেননি। গিয়াস আহমেদ, গত বছরের মন্ট্রিয়েল সম্মেলনে আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়। সম্মেলনে আমাদের লোকজনই বেশি ছিলেন। তারপরও সমঝোতার খাতিরে শাহ নেওয়াজকে সদস্য সচিব করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরবর্তীতে বছর শাহ নেওয়াজকে চেয়ারম্যান করা হবে। আমরা সবাই সেখানে স্বাক্ষর করি। আলী ইমাম সাইন করেছেন, আমি সাইন করেছি, তৌফিক এজাজ সাইন করেন, আবু জোবায়ের দারা সাইন করেন। এখন তারা বলছেন, আমরা কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি একটি পত্রিকার কাটিং দেখিয়ে বলেন, আলী ইমামের নেতৃত্বে সভা হয় এবং ৯ জনকে কো-অপ্ট করা হয়। সেই কমিটির কেউ জানেন না, আমি ইমামকে কীভাবে চেয়ারম্যান করা হলো? চেয়ারম্যান হিসেবে আমিও জানি না। তাছাড়া আমি তাকে ফোন বা মেসেজ করিনি বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা-ও সত্য নয়। আমি তাকে বারবার ফোন করেছি এবং মেসেজ করেছি। আমি কাজ করিনি, এটা কীভাবে বলেন? আমরা মিটিং করে কানেকটিকাটে সম্মেলন দিই, গঠনতন্ত্র তৈরি করি, কমিটি করার জন্য একাধিক বৈঠক করেছি। কমিটি করতে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধও শেষ হয় শাহ নেওয়াজের অনুষ্ঠানে আমরা যখন যোগ দিই। তিনি বলেছিলেন আমিই চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আমরা সঙ্গে যোগ না করলে তিনি অবৈধ চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন আর স্টিয়ারিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য আমাদের সঙ্গে তিনি বা তারা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন? কীভাবে আলী ইমামকে নিয়োগ দেন? এটা আসলে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি। ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ। তারা এখন মিথ্যাচার করছে। কারণ সব সিদ্ধান্তে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। মিথ্যাচার যারা করে তাদের সঙ্গে থাকা যায় না। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: বাইডেন প্রশাসন বুধবার নতুন একটি আইনের প্রস্তাব করেছেন। এর ফলে আরো ৩৬ লাখ মার্কিন শ্রমিক ওভারটাইম বিল পাওয়ার উপযুক্ত বিবেচিত হবেন। তিনি কার্যত আদালতের মাধ্যমে অকার্যকর হয়ে পড়া ওবামা-আমালের একটি নীতিই আবার সামনে নিয়ে এসেছেন। নতুন আইনে বলা হয়েছে, বছরে ৫৫ হাজার ডলারের কম আয় করে, এমন তথাকথিত হোয়াইট কালার শ্রমিকদের ওভারটাইম প্রদান করতে হবে। এই আইনে আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। তা হলো প্রতি বছর বেতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানোর কথাও এই আইনে বলা হয়েছে। শ্রম অধিকারকর্মী এবং লিবারেল আইনপ্রণেতারা দীর্ঘ দিন ধরেই ওভারটাইম সুরক্ষার কথা বলে আসছিলেন। অবশ্য নতুন আইনটি কার্যকর হতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে এবং বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। নতুন আইনটি খুচরা বিক্রেতা, খাবার, আতিথেয়তা, কারখানা এবং অন্যাণ্য শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখানকার শ্রমিকরা ওভারটাইম বিল পাওয়ার অধিকারী হবে। এক বিবৃতিতে লেবারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলি সু বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে শুনে আসছি যে শ্রমিকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো হলেও তাদের কোনো বাড়তি পারি¤্রমিক দেওয়া হয় না। একদিকে তাদের বেতন কম। তারপর বাড়তি শ্রমের কোনো মূল্য পান না। অর্থাৎ তাদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন হচ্ছে না।’ তবে নতুন আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো। উল্লেখ্য, ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বাইডেন একই ধরনের আইন জারি করে ওভারটাইম পাওয়ার অধিকারীদের বেতন ৪৭ হাজার ডলারে নির্ধারণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেক উদার আইনপ্রণেতা ও ইউনিয়ন তা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ডলার করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ‘ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট’ অনুযায়ী সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের পর শ্রমিকরা প্রায় প্রতি ঘণ্টার জন্য ওভারটাইম পাওয়ার উপযুক্ত। তবে নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে না থাকলে নির্বাহী, প্রশাসনিক বা পেশাদার ভূমিকায় থাকা বেতনভুক কর্মীরা তা পাবেন না। বামপন্থী ‘ইকোনমিক পলিসি ইনস্টিটিউট’ হিসাব দিয়েছে যে ট্রাম্প আমলের নীতি অনুযায়ী প্রায় ১৫ ভাগ পূর্ণকালীন বেতনভুক কর্মী ওভারটাইম পাওয়ার উপযুক্ত। আর নতুন আইন অনুযায়ী, ২৭ ভাগ পূর্ণকালীন বেতনভুক শ্রমিক ওভারটাইম বিল পাবেন। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: ‘কে ওই শোনালো মোরে আজানের ধ্বনি/ মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কী সুমধুর, আকুল হইলো প্রাণ নাচিলো ধ্বমনী/ কি মধুর আজানের ধ্বনি’। আমেরিকা সৃষ্টির পর থেকেই হয়তো এখানে বিস্তারিত...
নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ৮২ ভাগের কাছে অভিবাসীদের অপ্রতিরোধ্য ঢলকে ‘মারাত্মক সমস্যা’ মনে হচ্ছে। তাদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বলছে, এখন সময় এসেছে ‘ঢলকে মন্থর’ করার। নতুন এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সিনা কলেজের জরিপকারী স্টিভেন গ্রিনবার্গ বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান, স্বতন্ত্র, আপস্ট্যাটার, ডাউন-স্ট্যাটারদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ বিশাল অংশ বলছে যে নিউইয়র্কে আসা অভিবাসীদের সাম্প্রতিক ঢলটি রাজ্যের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা।’ সিনা কলেজের জরিপে দেখা যায়, ৮২ ভাগ ভোটার বলছেন যে বিগ অ্যাপল এবং এম্পায়ার স্টেটের বাকি অংশে অভিবাসীদের আগমন একটি বড় সমস্যা। আর ৫৪ ভাগ জবাবদাতা এটিকে ‘খুবই মারাত্মক’ সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন। মাত্র ১৬ ভাগ ভোটার বলেছেন, এটা মারাত্মক কোনো সমস্যা নয়। নিউইয়র্ক সিটি এবং এম্পায়ার স্টেট উভয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদানের নীতিকে সমর্থন করে আসছ। কিন্তু ভোটাররা তাদের ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন, তারা হতাশ হচ্ছেন, মনে করছেন যে দেশের দক্ষিণ সীমান্ত অতিক্রম করে নিউইয়র্কে আসা অভিবাসীদের ঢলটি এখানকার বাসিন্দাদের সামাজিক নেটওয়ার্কে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, তার নগরীতে এক লাখের বেশি অভিবাসী এসেছে এবং এদের মধ্যে ৫৭ হাজার বর্তমানে শেল্টারে রয়েছে। জরিপে ভোটারদেরকে দুটি বক্তব্যের একটি বেছে নিতে বলা হয় : ‘নিউইয়র্কের অধিবাসীদের কি উচিত হবে নতুন অভিবাসীদের গ্রহণ করে তাদেরকে নিউইয়র্কে একীভূত করে নেওয়া’ নাকি ‘নতুন অভিবাসীদের জন্য নিউইয়র্কের লোকজন ইতোমধ্যেই যথেষ্ট কাজ করে ফেলেছে এবং এখন উচিত হবে নিউইয়র্কে অভিবাসীদের ঢল মন্থর করে দেওয়া।’ জবাবে ৫৮ ভাগ ভোটার বলেন, নিউইয়র্কাররা যথেষ্ট করেছেন, এখন অভিবাসন সীমিত করা উচিত। আর মাত্র ৩৬ ভাগ জবাবদাতা বলেন, রাজ্যের উচিত হবে আরো অভিবাসী গ্রহণ করা এবং তাদেরকে একীভূত করে নেওয়া। জরিপে রিপাবলিকানদের প্রায় ৮০ ভাগ এবং স্বঘোষিত স্বতন্ত্রদের ৬০ ভাগ বলেন, অভিবাসন ঢল বন্ধ করার সময় এখন। আর ডেমোক্র্যাটরা আরো অভিবাসীদের সহায়তা করা এবং আগমন প্রতিরোধ করার ধারণায় বিভক্ত। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক রাজ্যের সর্বোত্ম হাসপাতালের সর্বশেষ বার্ষিক তালিকায় এনওয়াইসি হেলথ + হসপিটালস/আলমহাস্টকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট। তালিকায় নিউইয়র্ক সিটি হেলথ + হাসপাতালের যে ১০টি স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে, এটি তার একটি। এই প্রথম এনওয়াইসি হেলথ + হসপিটালস/আলমহার্স্ট এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো। এটি নিউইয়র্ক মেট্রো এলাকায় ২৬তম এবং নিউইয়র্ক রাজ্যে ২৮তম স্থান অধিকার করেছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমুনারি ডিজিজ (সিওপিডি), স্ট্রোক, হিপ ফ্রাকচার ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালটির পরিষেবার কারণে তালিকায় এমন সম্মানজনক স্থান অধিকার করেছে। বিস্তারিত...
মেষ (২১ মার্চ—২০ এপ্রিল) দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। আজ দূরে কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ আপনার মনে প্রেমের ছোঁয়া লাগতে চলেছে। সৃজনশীল কাজের জন্য সম্মাননা বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: বেশ আলোচিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান। সিনেমাটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাজধানীর এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখেছেন। শুক্রবার বিস্তারিত...