স্বদেশ ডেস্ক: দাদি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি। নিয়মিত স্বাস্থ্য চেক আপ করার জন্য হাসপাতালে গেলে মেডিক্যাল বোর্ড থেকে তাকে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়া হয়। হাসপাতালে বিস্তারিত...
ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন: বর্তমান স্বাস্থ্য বিজ্ঞান গত দশক ধরে তিনটি বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয় তিনটি হলো- ফাস্টিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন, শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল ইনজুরির হাত থেকে সম্ভব বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্কের বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশীয় ইমিগ্রান্টদের বড় বাজার জ্যাকসন হাইটসে প্রতিবছর চাঁদরাতে যেভাবে কেনাকাটা শুরু হয়, মেহেদি আঁকা হয় এবং সম্প্রতিকালে যোগ হওয়া গান বাজনা, নাচ এবং আতশবাজী তা এখন আর কারোরই চোখ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। নিউইয়র্ক টাইমসের মত বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী পত্রিকারও চোখ এড়ায়নি। বৃহস্পতিবার রাতের এই চাঁদরাতের মেলার প্রধান আকর্ষণ কেনাকাটা নয়, হাতে মেহেদি রাঙানো নয়, প্রধান আকর্ষণ আনন্দ। হাজারো মানুষের বাঁধভাঙা আনন্দের উল্লাস। এই এলাকার কাউন্সিলম্যান শেকার কৃষ্ণান নিউইয়র্ক টাইমসকে যথার্থই বলেছেন, It’s a reflaction of the vibrancy, power and presence of our South Asian Muslim community in Jackson Heights, our Bangladeshi community in particular. নিউইয়র্ক টাইমস লিখছে জ্যাকসন হাইটসের এই চাঁদরাতের মেলার মূল জায়গা ডাইভারসিটি প্লাজা। আর ছিল ৭৩ স্ট্রিট। সেখানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। ছিল নাচ ও গান। চাঁদরাতের মেলায় নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টারের দেখা হয় মূলধারার পপ আর্টিস্ট বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত অনিক খানেরও। অনিক খান থাকেন এস্টোরিয়ায় কিন্তু প্রতি বছর চাঁদরাতে জ্যাকসন হাইটসে আসেন- জানান টাইমসকে। টাইমস লিখছে, রুমানা আমরিন নামে এক তরুণী হেনা আর্টিস্টের কাছ থেকে মেহেদি আঁকার জন্য দীর্ঘ লাইন। অনেকে জানান তারা ঘন্টাধিক সময় লাইনে অপেক্ষা করছেন। রুমানা একটি টেবিলে বসে মেহেদি আঁকছিলেন। পরে তিনি টাইমসকে জানান তিনি ভোর ৩টা পর্যন্ত মেহেদি এঁকেছেন। টাইমস লিখছে, Eid Mubarak লেখা পতাকা ও বান্টিং ছিল সর্বত্র। গাড়ির জানালা খুলে ফুল ভল্যুমে বাজছিল বাংলাদেশসহ অন্য (মুসলিম) দেশের জাতীয় সংগীত। ভেন্ডররা টেবিল সাজিয়ে বিক্রি করছিল সালওয়ার কামিজসহ সোনার গহনা। ফায়ার ওয়ার্কসে আকাশ মাঝে মাঝেই ঝলমল করে উঠছিল। টাইমস বলছে, রাত সাড়ে নটায় শিল্পীরা মঞ্চে ওঠেন ক্লাসিকেল গাইবার জন্য। তারপর শুরু হয় বাংলা ফোক গান। তাদের গানের সাথে দর্শকরাও সমস্বরে গাইছিলেন। গানের পর্ব শেষ হয় মমতাজ বেগমের গান ‘মরার কোকিলে’ গাওয়ার মধ্য দিয়ে। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: প্যানডেমিকের সময় নিউইয়র্ক সিটির বেশির ভাগ মানুষ রিমোটে, ভার্চুয়ালি বাড়িতে থেকে কাজ করেছেন। কিন্তু এই সিটির ট্যাক্সিচালকরা ছিলেন রাস্তায়। তারা এই সিটিকে গতিশীল রেখেছিলেন। কারণ তাদের ঘরে বসে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আমি নিউইয়র্ক সিটির ট্যাক্সি এন্ড লিমুজিন কমিশনের পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই।- কথাগুলো বললেন টিএলসি কমিশনার ও চেয়ার ডেভিড ডো। তিনি বললেন, ট্যাক্সিচালক ছাড়া আমরা নিউইয়র্ক সিটি একদিনও গতিশীল রাখতে পারব না। নিউইয়র্ক সিটিকে একটি মেগা সিটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ট্যাক্সিচালক ভাইবোনদের অবদান অপরিসীম। গত মঙ্গলবার সকালে ফ্লাশিং মেডো করোনা পার্কের কুইন্স থিয়েটারের লবিতে আয়োজিত এওয়ার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কমিশনার ডো বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেন। উল্লেখ্য গত ৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে যেসব ট্যাক্সি ড্রাইভারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কম অভিযোগ এসেছে, যারা সবচেয়ে কম ট্রাফিক ভায়োলেশনের টিকিট পেয়েছেন বা একেবারেই পাননি, এই রকম ৫০০ ট্যাক্সিচালককে সম্মাননা জানানো হয় এই দিন। এই ক্যাটেগরিতে যার বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো অভিযোগ আসেনি প্যাসেঞ্জারদের পক্ষ থেকে, এবং কোনো ট্রাফিক ভায়োলেশনের টিকিট পাননি, তিনি পেয়েছেন সেরা ড্রাইভারের সম্মাননা। ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে আসা ইমিগ্রান্ট প্যাট্রিসিয়া পেয়েছেন সেরা ড্রাইভারের সম্মাননা। সেরা ড্রাইভার প্যাট্রিসিয়া রেমিরেজ বলেন, আমার একটি কন্যা আছে। তাকে নিয়েই আমার সব স্বপ্ন। তাকে ভাল রাখার জন্য আমি খুব সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাই। সেজন্য কোনো ভায়োলেশনের টিকিট পাইনি, এ্যাকসিডেন্ট করিনি এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। ৫০০ ড্রাইভারের মধ্যে যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা কমিশনার ডেভিড ডো’র সাথে সম্মাননা সাটিফিকেট হাতে ছবি তোলেন। সেরা ড্রাইভার এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে কুইন্স থিয়েটার মুখর হয়ে ওঠে। তাদের জন্য নানা ধরনের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। ছিল ফ্রি বিংগো অর্থাৎ লটারির মাধ্যমে উপহার লাভ। উল্লেখ্য এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের নাম নাইনথ এ্যানুয়াল ভিশন জিরো সেফটি অনার রোল ইনডাকশন সেরিমনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিএলসি বোর্ড অব কমিশনারস ডেভিড ডো ছাড়াও জ্যাক জিহা, কেনেথ মিচেল, থমাস সোরেনটিনো ও এলিসা ভেলাজকেজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিরেক্টর ব্রায়ান সুইটজার। শ্রেষ্ঠ ড্রাইভারের এওয়ার্ড প্যাট্রিসিয়া রেমিরেজের হাতে তুলে দেন কমিশনার ডো। তিনি শ্রেষ্ঠ বেজ এন্ড ফ্লিটসের সম্মাননা তুলে দেন মেটামরোস কার সার্ভিস ইনকের প্রেসিডেন্টের হাতে। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বরো এবং লং আইল্যান্ডের আবাসিক বাড়িতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করল ন্যাশনাল গ্রিড। নিউইয়র্ক সিটি এবং লংআইল্যান্ডে ১৯ লক্ষ বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে ন্যাশনাল গ্রিড। তারা ১৭% দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার তারা এই লিখিত প্রস্তাব কারণসহ বিস্তারিত দাখিল করে নিউইয়র্ক স্টেট পাবলিক সার্ভিস কমিশনে। স্টেট সরকারের এই কমিশন অনুমোদন দিলে মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে। শুক্রবার পলিটিকো এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই প্রস্তাব অনুমোদন করলে আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে। ন্যাশনাল গ্রিড, গ্যাস সরবরাহ কোম্পানি, জানিয়েছে ১৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হলে কুইন্স, ব্রæকলীন ও স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের কাস্টমারদের মাসিক বিলে গড়ে প্রায় ৩০.৯৫ ডলার বাড়তি যোগ হবে। যারা বাড়িতে গ্যাস হিটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই অংক আরো কিছুটা বেশি হবে। তবে লং আইল্যান্ড ও রকাওয়ে পেনিনসুলার কাস্টমারদের বিলে বাড়তি যোগ হবে সামান্য কম। ন্যাশনাল গ্রিড বলছে, আমেরিকার ফেডারেল সরকারের ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক যেসব শর্ত রয়েছে তা পূরণ করতে হলে এই মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তাদের সিস্টেম আপগ্রেড করা জরুরী। ন্যাশনাল গ্রিড আরো জানিয়েছে এমিশন কমাতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী ও নিশ্চিত করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন উক্ত মূল্যবৃদ্ধি থেকে তা সংকুলান করা হবে। এইসব খাতে তাদের নিউইয়র্ক সিটির জন্য ৪১৪ মিলিয়ন ডলার এবং লং আইল্যান্ডের কাস্টমারদের জন্য ২২৮ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ন্যাশনাল গ্রিড আরো জানিয়েছে, ডিজাবেল, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক এবং অত্যন্ত নি¤œ আয়ের পরিবারগুলোর জন্য আগের মতই তাদের এফোর্ডেবিলিটি কর্মসূচী বহাল থাকবে। তারা প্রতি বছর এই খাতে নি¤œ আয়ের পরিবারগুলোর জন্য ৫৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখে। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক স্টেটের রাজনীতিতে ৪০ বছরের কম বয়সী ৪০ জনকে স্বীকৃতি দিল অলবেনির অনলাইন সংবাদমাধ্যম সিটি এন্ড স্টেট। এই ৪০ জনের একজন হলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত তরুণ মোহাম্মদ আলম। তিনি হডসন রাস এলএলপির এসোসিয়েট। মোহাম্মদ আলমের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় একটি ফোন কল। নিউইয়র্কের সিটি কলেজে পড়াকালে তার একজন প্রফেসরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ, কিভাবে রাজনীতির অংগনে নাম লেখানো যায়। প্রফেসর তাকে বলেছিলেন যে কোনো ক্যাম্পেইনে কল করে বলো তুমি তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হতে চাও। ২০১০ সালে তিনি ফোন দেন স্টেট সিনেটর কার্স্টেন জিলিব্র্যান্ডের ক্যাম্পেইনে। অতএব রাজনীতির অংগনে মোহাম্মদ আলমের যাত্রা শুরু। মোহাম্মদ আলম ম্যানহ্যাটান ইয়াং ডেমোক্রেট হিসাবে যোগ দেন। আস্তে আস্তে তিনি এর প্রেসিডেন্ট হলেন। এরপর তার নজর ইয়াং ডেমোক্রেটস অব আমেরিকার প্রতি। সেখানে তিনি ফার্স্ট ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন। এখন তিনি সংগঠনের ন্যাশনাল ট্রেজারার। মোহাম্মদ আলম একজন এটর্নি। তিনি জানান, শৈশবে তার নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা ছিল। এখন মনে হয় নিজেকে বড় করে না তুলে যারা পর্দার আড়ালে এবং তৃণমূলে কাজ করে তাদের তুলে ধরতে চাই। সেইসাথে আইনি লেখা লিখতে চাই। আমি ভাল এটর্নি হতে চাই। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: পাকিস্তানে বাবা-মায়েরা এখন তাদের মৃত কন্যাদের ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে কবরে তালা লাগিয়ে দিচ্ছেন। সন্তানের মৃতদেহকে ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচাতে কবরস্থানের চারপাশে লোহার খাঁচা তৈরি করে দিচ্ছেন বিস্তারিত...
নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে আগামী ৬ ও ৭ মে শনি ও রোববার অনুষ্ঠিত হবে উত্তর অ্যামেরিকা রবীন্দ্র উৎসব ২০২৩। রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ ইউএসএ’র আয়োজনে অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় থাকবে বঙ্গ বিস্তারিত...