শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুরু পাবনায় ১২ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা ইরানের হুঁশিয়ারি : ইসরাইলের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা হবে ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
এসএসসি ও সমমানের প্রশ্নপত্রে ত্রুটি, শিক্ষা বোর্ডের ভুলে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত

এসএসসি ও সমমানের প্রশ্নপত্রে ত্রুটি, শিক্ষা বোর্ডের ভুলে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত

প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা হলো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)। এ দু’টি পরীক্ষার ফলের ওপর সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষা এবং কর্মজীবনের। দু’টি পরীক্ষাই পরিচালনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর। লক্ষণীয়, শিক্ষা বোর্ডগুলো সেই অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। এ কথা বলার কারণÑ এবার যারা এসএসসি দিচ্ছে; প্রশ্নপত্রে ছাপার ভুল এবং কোনো কোনো কেন্দ্র সচিবের অজ্ঞতার কারণে প্রথম পরীক্ষাতেই তাদের পড়তে হয় মানসিক পীড়ায়। প্রশ্নপত্রে ছাপার ভুলের জন্য শিক্ষার্থীরা সঠিক সমাধান দিতে পারেনি। ফলে প্রস্তুতি ভালো থাকার পরেও অনেকে ভালোভাবে উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষায় অনেকে কাক্সিক্ষত ফল না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, এটি শিক্ষা বোর্ডগুলোর গাফিলতি ও অযোগ্যতা ছাড়া আর কিছু নয়।
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাধারণ ৯টি বোর্ডের অধীনে দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও এসএসসির প্রথম দিনে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নের সৃজনশীল অংশে সময় উল্লেখ ছিল দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট, যদিও শিক্ষার্থীদের দেড় ঘণ্টা সময়ই পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। প্রথম পরীক্ষায় সারা দেশে ‘ক’ সেটের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। পরীক্ষার্থীদের উত্তর দিতে হয়েছে দেড় ঘণ্টায় মোট দু’টি প্রশ্নের। এ ধরনের ভুল থাকায় শিক্ষার্থীরা উত্তর লেখার সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। অনেকে তিনটি বা চারটি প্রশ্নের উত্তর লিখেছে। পরিণামে দেড় ঘণ্টায় কোনো প্রশ্নের উত্তর ভালো লিখতে পারেনি তারা। অন্য দিকে এসএসসির সমমানের ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদেরও তিনটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়। আর সময় দেয়া হয় ‘এক ঘণ্টা’। মোট নম্বর ১৫। অথচ এটি ছিল ৩০ নম্বরের এবং দুই ঘণ্টার পরীক্ষা।
অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হল পরিদর্শকদের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা করা হয়নি। করোনার কারণে এ বছর এসএসসির পরীক্ষার আগে স্কুলে কোনো পরীক্ষা হয়নি। এমনকি প্রি-টেস্ট, টেস্ট ছাড়াই হঠাৎ করে এত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বসেছে। সেহেতু একটু ঘাবড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। তাই প্রশ্নপত্রের অনাকাক্সিক্ষত ভুলের বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও হল পরিদর্শকদের সহযোগিতা করা উচিত ছিল; কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনের কোনো তাগিদবোধ করেননি অনেক পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্মরতরা। এটি শিক্ষকসুলভ আচরণ কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
গুরুত্বপূর্ণ এই পাবলিক পরীক্ষায় এমন অমার্জনীয় ভুলের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে যে সাফাই গাওয়া হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য বলেই মনে হয়। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলা হয়, এ বছরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগে তৈরি করে রাখায় এতে সময় লেখা ছিল আগের নিয়মে। প্রশ্ন ছাপাতে প্রায় দুই মাস সময় লাগে। আগে থেকেই প্রশ্ন ছাপিয়ে রাখাসহ পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয় দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা নেয়ার। আগে প্রশ্ন ছাপানোয় কিছু ভুল ও বিভ্রান্তির জন্য এমনটি হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্রে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, পরীক্ষার সময়সীমা দেড় ঘণ্টাই। এ বিষয়ে সব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রুটিনের সাথেও নির্দেশনা দেয়া ছিল। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও প্রশ্নপত্রে সময় ‘দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট’ উল্লেখ থাকতে পারে; তবে পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টা।
শিক্ষা বোর্ড থেকে ‘ছোট ছোট’ ভুলের জন্য পরীক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এমন পরামর্শে পরীক্ষার্থী চিন্তামুক্ত হতে পারবে বলে মনে হয় না। যেখানে আগের নির্দেশনাই যথাযথভাবে পালন করা হয়নি; সেখানে ভুলের পরে দেয়া এমন বক্তব্যের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সঙ্গত কারণে আমরা মনে করি, যারা প্রশ্নপত্রে এমন ভুলের জন্য দায়ী তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হোক। তাতে আগামীতে এমন ভুল না হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বৈকি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877