স্বদেশ ডেস্ক: রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিকিৎসার ব্যয় সরকারিভাবে বহন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
দলের মহাসচিব বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মন্ত্রীর পদমর্যাদায়, তাই সরকারিভাবেই তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে।’ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে পল্লীবন্ধুর উন্নত চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
রাঙ্গা বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হলেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে।
এ সময় এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। তিনি বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থা কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। যতদিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে- ততদিনই তাকে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পালস ও রক্তের চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে। আর ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে পল্লীবন্ধুর রক্তের বর্জ্য বের করা হয়েছে। কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অর্গানগুলো স্বভাবিকভাবে কাজ করলে পল্লীবন্ধুর লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হবে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধুর হজম প্রক্রিয়ায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তার মলের সঙ্গে এখন আর রক্তক্ষরণ হচ্ছে না। রক্তে প্লাটিলেট দেওয়া হচ্ছে এইচএম এরশাদকে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধুর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার শতভাগ প্রস্তুতি আছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বিদেশে নেওয়া হয়নি।
সিএমএইচের চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করে জাপার এই নেতা বলেন, দেশী-বিদেশী চিকিৎসকদের পরামর্শে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিশ্বমানের চিকিৎসা হচ্ছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের।
এর আগে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের আয়োজনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনায় দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী। মহানগর উত্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা দোয়া-মাহফিলে যোগ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য-সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মো. আজম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান-শামসুল আলম মাস্টার, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, নুরুল ইসলাম নুরু, আমানত হোসেন আমানত, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম মহাসচিব- আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদক মন্ডলী- মো. শামসুল হক, শরিফুল ইসলাম চৌধুরী সরু, মো. হেলাল উদ্দিন, নাসির উদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাব্বির আহমেদ, আনিস উর রহমান খোকন, এম.এ. রাজ্জাক খান, হুমায়ুন খান, গোলাম মোস্তফা, কাজী আবুল খায়ের, রেজাউল করিম, আহাদ চৌধুরী শাহীন, কেন্দ্রীয় নেতা- মাহমুদুর রহমান মাসুদ চৌধুরী, নাজমুল খান, এনাম জয়নাল আবেদীন, আব্দুস সাত্তার, মামুনুর রহমান, হাজী সিরাজ, শেখ মোহাম্মদ আলী, সরদার নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন তোতা।