মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন

৩০ প্রকারের রঙিন বাঁশের জাদুঘর

৩০ প্রকারের রঙিন বাঁশের জাদুঘর

কুমিল্লা, নোয়াখালী ও মুন্সীগঞ্জসহ সমতল অঞ্চলে অল্প কিছু প্রজাতির বাঁশ দেখা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বরাক, বোম্বে ও মুলিসহ আরো কয়েকটি প্রজাতি। তবে বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই এলাকায় রয়েছে ৩০ প্রজাতির রঙিন বাঁশের জাদুঘর। এসব বিচিত্র আকারের বর্ণিল বাঁশ দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থী। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লামা উপজেলার সরইতে অবস্থিত কোয়ান্টামে এই জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে।

বাঁশগুলোর বিচিত্র সব নাম। ভুদুম, পেঁচা, স্বর্ণা, ঘটি,ডলু, কালি, বেথুয়া, করজা, তেঁতুয়া, বোম্বে, থাই, মাকলা, মিতিঙ্গা, তল্লা, বরাক, রেঙ্গুন, ফারুয়া, ব্রান্ডিসি, বাইজ্জা, মাকলা, কাঁটা, হেজ, লাঠি, জিগজাক, বারওয়ারী, কনককাইচ ও মুলি বাঁশ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ‘ব্যাম্বোরিয়াম’ নামে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা রয়েছে, বনবিভাগের সহযোগিতায় ব্যাম্বোরিয়াম। সাদা নামের বাঁশের পাতাগুলো সাদা। পাশে রয়েছে ঘটি বাঁশ। এই বাঁশ দেখলে মনে হবে, ছোট সুপারি গাছ। দৃষ্টিনন্দন রঙিন স্বর্ণা বাঁশ। সোনালী রঙের বাঁশে শেষ বিকেলের আলো পড়ে ঝলমল করছে। সবচেয়ে লম্বা ও মোটা ভুদুম বাঁশ। ফারুয়া বাঁশের সৌন্দর্য অদ্ভুত। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা। হেজ বাঁশ ঝোঁপের মতো দেখতে। তার উপর নির্ভয়ে বসে আছে কালিম পাখি।

কুমিল্লার দর্শনার্থী মাহফুজ নান্টু, আবদুর রহমান ও তৈয়বুর রহমান সোহেল বলেন, সমতল ভূমিতে কয়েক প্রজাতির বাঁশ দেখেছেন। এখানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ দেখে তারা মুগ্ধ। এখানে এসে বুঝলেন বাঁশ দেখেও ভালো লাগতে পারে।

লামা কোয়ান্টামের কৃষি বিষয়ক সমন্বয়ক শাহজালাল সরকার বলেন,  ২০০৭ সালের দিকে দেড় একর জমিতে বাঁশ বাগানটি গড়ে তোলা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইর থেকে বাঁশ এনে এখানে রোপণ করা হয়। বর্তমানে এই বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। আরো প্রজাতি সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

লামা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল বলেন, পৃথিবীতে বাঁশের শতাধিক প্রজাতি রয়েছে। চট্টগ্রাম ষোলশহরে বন গবেষণাগারে রয়েছে ৩০ প্রজাতির বেশি বাঁশ। লামার সরইতে স্থাপিত বাঁশ বাগানটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। এটি সুন্দর উদ্যোগ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877