স্বদেশ ডেস্ক: পাবনার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলাকে গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের শিক্ষিকা ফৌজিয়া আলম বাবলির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাত দেড়টার দিকে টিটি কলেজের গেস্টরুম থেকে তাদের আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। ওই শিক্ষিকার নাম ফৌজিয়া আলম বাবলি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মৌসুমি সিনেমা হলের সামনে। তিনি বিএড শেষ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএড করছেন। ফৌজিয়া আলম বাবলি বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ।
একাধিক প্রত্যক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, গত দুই বছর ধরে বিএড উন্মুক্ত কোর্সের এক শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জ থেকে এসে দুই দিন কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে অবস্থান করে। মাঝে মধ্যেই ওই শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কক্ষে রাতে অবস্থান করতেন। বিষয়টি নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা চরম বিব্রত ও ক্ষুব্ধ ছিলেন। ১১ জুলাই রাতে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পাশ্ববর্তী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরাও কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু জানান, টিটিসি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে রাত একটার দিকে পুলিশে খবর দিয়ে অভিযুক্তদের আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিই। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন বলে আমরাও শুনেছি। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক জানান, ‘পাবনা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলাকে সিরাজগঞ্জের শিক্ষিকা ফৌজিয়া আলম ছাত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’ তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীই বাদি হয়ে বিকেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান জানান, অভিযুক্তদের পাবনা সদর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তবে শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মুচলেকা দিলেও তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।