স্বদশে ডেস্ক: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর সন্তানরাই এখন তার উত্তরাধিকার।
তিন ছেলে এক মেয়ের বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার সন্তানরা হলেন- রাহগির আল মাহি এরশাদ, এরিক, আরমান এরশাদ ও জেবিন। ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ শীর্ষক এরশাদ তার আত্মজীবনী গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এই তিন ছেলে ও এক মেয়ের কথা। তবে তার ছেলেমেয়ে নিয়ে নানা সময় নানান মুখরোচক গাল-গল্প এবং বিতর্ক হয়েছে। এখনও রয়েছে।
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আট বছর বাংলাদেশ শাসনকারী এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ। তবে এর আগেও তার একটি বিয়ের খবর পাওয়া যায়।
১৯৮৩ সালে সামরিক শাসক থাকার সময়ই স্ত্রী রওশন এরশাদের পুত্র জন্ম দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। রওশনের সেই ছেলের নাম রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ)। তরুণ বয়সে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল। তারপর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন শেষে তিনি এখন ঢাকাতেই থাকেন। পেশায় ব্যবসায়ী বলা হলেও তার কী ব্যবসা তা জানা যায়নি।
এরশাদের আরেক ছেলে এরিক এরশাদ (১৮)। তিনি বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাবা এরশাদের সঙ্গে থাকেন। গান-বাজনায় বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে তার।
এরিকের মা বিদিশার সঙ্গে এরশাদের বিয়ে টিকেছিল কয়েক বছর। ২০০৫ সালে বিচ্ছেদের পর এরিককে নিয়ে এরশাদ ও বিদিশার যুদ্ধ আদালতে গড়িয়েছিল। পরে আদালতের আদেশে এরিকের দায়িত্ব পান এরশাদ।
এরশাদের ঘনিষ্ঠরা জানান, তার সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন সন্তান এরিক, তাকে নিয়েই তার যত ভাবনা ছিল।
এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে এরিককে আমি সময় দিতে পারিনি। এরিক যখন আমার জীবনে আসে, তখন সে মাত্র দুই বছরের শিশু। সে স্নেহবঞ্চিত সন্তান। ছেলেবেলা থেকে মাতৃস্নেহ পায়নি। আমিও আমার অপর সন্তান জাতীয় পার্টি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি সব সময়। ওকে স্নেহ-ভালবাসা দিতে পারিনি, বঞ্চনা করেছি।’
এ ছাড়া জাপা চেয়ারম্যানের পালিত ছেলে আরমান এরশাদ (২৫) থাকেন এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে। তার একমাত্র পালিত মেয়ে জেবিনের (৩৫) বিয়ে হয়েছে এবং তিনি এখন লন্ডনে থাকেন।