স্বদেশ ডেস্ক: পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে মুত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলের খিচুরি খেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুখী (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুমাইয়া খাতুন সুখী উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের সেলিম শেখের মেয়ে ও শহরের আহমেদ রফিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া একই কারণে ওই গ্রামের শিশুসহ অন্তত ৫০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। শনিবার রাত ও আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত ৪০ জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা নিয়েছেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনিষা (১২), লামিয়া (৭), দীপক সাহা (৫৯), রেশমী (৩০), লামিয়া (৫), রিপন (৪২), স্বপন (২৩), শারমিন (১৯), মকছেদ (২০), মানু (১৭), স্বপন (৪০), জিসান (৩০), মাহিন (১৩), সুরুজ (৭০), আয়েশা (২৫), মেহরাব (১১), রোহান (৬), রোহান (৯), রাত্রি (১২), সাবিনা (৩০), রোহানা (৩৮), ছিয়াম (১০), ইয়াসমিন (২০), কাকলী (১৩), সুফিয়া (৪৫), লতা (২৫), সন্তু (২৮), মুসাব্বির (১৪), কামরুন্নাহার (৬০), সাজু (১৬), মোমিন (৩৪)-সহ ৪০ জন। অসুস্থতরা সবাই বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তবারক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া রিপন হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে তার বড় চাচা ঈমান আলীর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদের তবারক খাওয়ার পরপরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাবিবুল ইসলাম জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই তারা অসুস্থ হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, ‘একই গ্রামে একসঙ্গে অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে জেনেছি, শুক্রবার একটি মিলাদ মাহফিলে খিচুড়ি খাওয়ার একদিন পর ওই গ্রামের অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।’
সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঢাকায় অবহিত করেছি। ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামে মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া একটি অ্যাম্বুলেন্সও সেখানে রাখা হয়েছে।’
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’