মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

ব্রণ দূরে রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ

ব্রণ দূরে রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ

স্বদেশ ডেস্ক:

অনেকেরই ধারণা, ব্রণ টিনএজারদের স্বাস্থ্য সমস্যা। এর আবির্ভাব ঘটে বয়ঃসন্ধিকালে আর প্রস্থান ঘটে পূর্ণ বয়সে। তবে খুব কম ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে। সাধারণত নারীরা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকেন। এ চাপের কারণে শরীরে হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন ঘটে, এমনকি অ্যাড্রেনাল হরমোন, যেমন- কর্টিসোলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মেয়েলি হরমোনগুলোর ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে এবং ব্রণের প্রাদুর্ভাব বাড়িয়ে দেয়। কর্মক্ষেত্র, পরিবার, অবসন্নতা- এমনকি চাপের মধ্যেও নারীরা চান সব সময় তাকে সুন্দর দেখাক। এসব হরমোনের ওঠানামায় তারতম্য ঘটায়। যদি আপনার ব্রণের প্রবণতা থাকে, তা হলে কঠোরভাবে প্রতিরোধ প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। নইলে এক মাসের মধ্যে আবার দাগ দেখা দেবে।

ব্রণ ওঠার কারণ : সাধারণ কারণের মধ্যে আছে, ঘন ঘন মুখম-ল স্পর্শ করা, বারবার চিবুকের সঙ্গে টেলিফোন চেপে ধরা, ত্বকের ছিদ্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী তৈলাক্ত প্রসাধনী বা ক্রিম ব্যবহার করা অথবা একই সময়ে অনেক পণ্য মাখার ফলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া। (গাঢ় সানস্ক্রিন, উচ্চ ময়েশ্চারাইজার এবং তেলতেলে ফাউন্ডেশন হঠাৎ করে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে পারে)। চুলের জন্য ব্যবহৃত পমেড, টু-ইন-ওয়ান শ্যাম্পুগুলো এবং বিভিন্ন কন্ডিশনার চুলের লাইন, গলা, কাঁধ এবং পিঠে ব্রণের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে। রোদে চলাফেরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এতে কোষের বিপর্যয় বাড়িয়ে দেয়। বেড়ে যায় লোককূপের মধ্যকার ছিদ্রপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা।

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ : প্রতিদিন সকালে শান্ত, নন-ইরিটেটিং ক্লিনজিং লোশন দিয়ে মুখ ধুয়ে ত্বক তেলমুক্ত করুন। পরিষ্কার হাত দিয়ে আর্দ্র মুখে ক্লিনজার মাখুন, কোনো কর্কশ প্যাড ব্যবহার করবেন না। এরপর ত্বকে তেলহীন গ্লাইকোলিক এসিড পণ্য, বিশেষ করে জেল কিংবা অ্যাসট্রিনজেন্ট ব্যবহার করুন, যাতে ত্বকের মরা কোষ খসে পড়ে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রাতে পি অ্যাকনি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে কম উত্তেজক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বেনজয়েল পার অক্সাইড সল্যুশন ব্যবহার করা। এমন লোশন খুঁজুন, যাতে ২.৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত উপাদান রয়েছে। এটা নির্ভর করে ত্বকের সংবেদনশীলতার ওপর। যদি ত্বকে সক্রিয় কোনো ফুসকুড়ি না থাকে, তা হলে চিকিৎসার সময় এটা নয়। নিশ্চিত হতে হবে, একদিন পর পর লোশন যেন পাতলা আবরণের মতো সারা মুখে মাখা হয়, যেসব স্থানে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আছে, ওসব স্থানে ঘন করে মাখতে হবে।

সপ্তাহের কাজ : প্রতি সপ্তাহে একবার মুখ বাষ্প দিয়ে পরিষ্কার করুন, এটাকে বলে স্টিম ক্লিনজিং। এক্ষেত্রে এক গামলা গরম পানির বাষ্প নিতে পারেন। এরপর সালফার, বেনজয়েল পার অক্সাইড অথবা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের ছিদ্রগুলো মুক্ত হবে এবং ত্বক মসৃণ হবে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ ব্রণের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগের সপ্তাহে ঘনঘন অথবা দুবার মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। যাদের ত্বক কোমল, পাতলা ও ফর্সা এবং যাদের অ্যাকনি রোজাসিয়া হয়েছে তাদের বাষ্পের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করা ত্যাগ করতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন বাষ্প ব্যবহারে রজনালিগুলো প্রসারিত হয়ে যেতে পারে।

ত্বকের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ : যখন ব্রণ দেখা দেয়, খোঁটাখুঁটি করবেন না। ফুসকুড়ির মাথা তুলে আনলে সেগুলো দ্রুত মিলিয়ে যায়। রাতে শোবার আগে গরম সেঁক দিন। এরপর শুকনো মাস্ক দিয়ে আক্রান্ত স্থানে মৃদু চাপ দিন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877