পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে জুলুহারের হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান কাঠ চেরাই বিক্রেতা মোঃ মামুন (২৫) কে চড় থাপ্পড় সহ লাথি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে সমুদয়কাঠীর চেয়ারম্যান মোঃ সবুর তালুকদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত দশদিন আগে থেকেই এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ সবুর তালুকদারকে প্রায় ১৬০০০ টাকার চেরাই কাঠ সরবরাহ করে মোঃ মামুন। মোট টাকার মধ্যে ১০০০০ টাকা নেওয়ার পর বাকী ৬০০০ টাকা ঈদের দুই দিন আগে চেয়ারম্যানের দপ্তরে চাইতে যায়। আর পাওনা টাকা চাওয়াটাই কাল হয়ে দাঁডায় আঃ লতিফের ছেলে মোঃ মামুনের। কোন কিছু আচ করার আগেই চেয়ারম্যান হঠাৎ মামুনের উপর প্রচন্ড আকারে ক্ষিপ্ত হয়। তবে মামুনের প্রাথমিক অপরাধ করোনার আতঙ্কে লক ডাউনের সময়ে মামুন মাস্ক পড়েনি। আর সেই সূত্র ধরেই চেয়ারম্যান মামুনের উপর চরম নির্দয় হয়। তুচ্ছ ঘটনার সুত্র ধরেই পাওনা টাকার কথা বেমালুম ভুলে মাক্স প্রসঙ্গ নিয়ে চেয়ারম্যানের দপ্তরের বাহিরে এসে মামুনকে চড় থাপ্পড় সহ লাথি দিয়ে আঘাত করে। এদিকে ঘটনার সময়ে সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের মধ্যে জেলেদের চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। চেয়ারম্যানের হটকারি সিদ্ধান্ত উপস্থিত জেলেরা সহ উপস্থিত সকলকেই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ভাবে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন চেয়াম্যানের আচরণে চরম নিন্দা জানায়।
এ ব্যাপারে কথা হয় এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ সবুর তালুকদারের সাথে। চেয়ারম্যান জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, লেনদেনের একটা বিষয় আছে। তবে মামুন একটা বেয়াদব ছেলে। দেশের কঠিন দুঃসময়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দুঃসাহস দেখায়। আমার দপ্তরে মাক্স ছাড়া প্রবেশ করে। আমি ওকে মাক্স ছাড়া প্রবেশ করতে নিষেধ করি। ও আমার নিষেধ অমান্য করে কঠিন দাম্ভিকতা দেখায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমি উত্তেজিত হই। তবে আমি চড় থাপ্পড় সহ লাথি দেইনি। তবে ভিন্ন কথা বললেন কাঠ চেরাই বিক্রেতা মোঃ মামুন। জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, চেয়ারম্যান আমার সাথে নির্দয় আচরণ করে। আমি পাওনা টাকা চাওয়াটাই আমার অপরাধ হয়তো। তবে আমি মাক্স পড়িনি এটা শতভাগ সত্য। তবে মাক্স পড়াটা আসল বিষয় নয় বরং খোড়া যুক্তি দিয়ে আমার সাথে কঠিন খারাপ আচরণ সহ চড় থাপ্পড় সহ লাথি মারে প্রকাশ্যে। আমি নিতান্ত গরীব তাই চেয়ারম্যান আমার সাথে অমানবিক কায়দায় মারধর করে। আমি ন্যায়ের পক্ষে বিচারের দাবী জানাই। পাশাপাশি আমার পাওনা টাকাও চাই।
সর্বশেষ তথ্য মতে চেয়ারম্যানের বর্বরোচিত আচরনে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সাবেক চেয়ারম্যান সহ সাবেক জন প্রতিনিধিরাও নিন্দা জানায়। তবে সুশীল সমাজের লোকজন চেয়ারম্যানের আচরণে বেজায় অখুশি। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হকও বিষয়টি শুনে দারুণ ক্ষুব্ধ। একান্ত আলাপ চারিতায় জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, জনগন ভুল করবে আর এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু চেয়ারম্যান একজন জনপ্রতিনিধি। তার চিন্তা ভাবনা ও দূর দর্শয়িতা হবে চমৎকার।