বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় গভীর রাতে মা ও মেয়ের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়ে সখিনা আক্তার (১০) নিহত হয় এবং স্ত্রী শাজেনূর বেগম (৩০) পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন ।
এদিকে এই ঘটনার পর আজ সকালে সাবেক স্বামী বেলাল হোসেনও (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দগ্ধ ওই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে দগ্ধ শাজেনূর বলেন, ‘ঘরে আগুন দেখে আমি বাইরে এলে আমার সাব্কে স্বামী (সম্প্রতি তালাক হয়েছে) বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন লোক আমাকে জাপটে ধরে পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
প্রতিবেশীরা জানান, রাত দুইটার দিকে চিৎকার শুনে তারা দৌড়ে যান। এ সময় ঘরে আগুন জ্বলছিল। ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘর পুড়ে যায়। ওই ঘর থেকে সখিনার পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুন থেকে বাঁচতে শাজেনূর ঘর থেকে বাইরে এলে তার শরীরে পেট্রল দিয়ে আগুন দেয় বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন। এতে শাজেনূরের শরীর আগুনে পুড়ে যায়।
সখিনা শাজেনূরের প্রথম স্বামী মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, শাজেনূরের শরীরের ৮০ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সিকদার বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। দগ্ধ শাজেনূরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।