শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের ভূমিকা দারুণ

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের ভূমিকা দারুণ!!
শেখর চেয়ারম্যানের দুই সহযোগী মাদক বিক্রির দায়ে গ্রেফতার!! 
বার্তা পরিবেশক, পিরোজপুর: কনকনে শীতের হিমেল হাওয়া বর্জন করে মাদক নিয়ন্ত্রনে সফলতা পাচ্ছেন নেছারাবাদ থানার   একঝাক সাহসী  এস আই ও এ এস আইদের স্ব স্ব বাহিনী।  জীবনের ঝুকি সহ আরাম আয়েশকেও মাঝে মাঝে পরিহার করে আইনের রক্ষক হয়ে মানব সেবায় নিয়োজিত। স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে কিছু কিছু দূর্নাম থাকা সত্বেও  দক্ষকার পরিচয় দিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী । ব্যাতিক্রম নয় পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার কর্মকর্তারা । নেছারাবাদ থানার নুতন ওসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একঝাক সাহসী ও উদিয়মান  এস আই ও এ এস আইদের দক্ষতায় নিত্য নুতন চমক দিচ্ছে। ওসি  মোঃ কামরুজ্জাম তালুকদারের যোগ্য নেতৃত্বে মাদক নির্মুলে বেশ তৎপর। সময়ের সাথে আজ ছারছিনার পূর্ণভূমি নেছারাবাদ থানায় সুনাম ও সুখ্যাতির  আলো ছড়াচ্ছে সর্বত্র।
এদিকে সময়ের সাথে  সাথে অতি অল্প সময়েই মেধা ও দক্ষতার ছাপ রেখে গডে তুলেছে একঝাক সাহসী কর্মী বাহিনী। বিগত সময় হতেই নেছারাবাদ উপজেলা ছিলো মাদকের স্বর্গ রাজ্য। হাত বাডালেই পাওয়া যেত মাদক আর মাদক। বিগত ওসি  মোঃ তরিকুল ইসলামের  মাদকের সাথে কখনই আপোষ করেননি।  নামকরা মাদক ব্যাবসায়ীকে আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার করা সহ মাদক আইনে মামলাও হয়েছে। আর সেই ধারা অভ্যাহত ভাবে চলছে পুরোধমে। চলতি সময়ে থানার ভিতরের ও বাহিরের পরিবেশে এসেছে একটা পরিবর্তন।পাশাপাশি পূর্বের ন্যায় মাদক নিয়ন্ত্রনে শতভাগ সফল হওয়ার চেষ্টায় বেশ তৎপর। চলতি মাসে পর পর সফলতার পাশাপাশি গত পরশু বৃহস্পতিবার রাত্রে শেখর চেয়ারম্যানের অতি কাছের লোক  মাহামুদকাঠীর ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃ শামসুল হকের ছেলে  মোঃ মাসুূদ (৩০) কে  ১০০ পিস ইয়াবা  বিক্রির দায়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।এস আই তাজুল  ইসলাম ও এ এস আই মোঃ শরিফুলের দৃঢতায় সক্ষম হন। তবে  মাসুদের ছোট ভাই মাসুমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি।এদিকে মুসলিম পাড়ার সহিদুলের ছেলে মোঃ রিয়াজকেও ৫০ পিছ ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে  এলাকার লোকজনরা মিডিয়াকে জানান, বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছের লোক হয়ে একক ভাবে মাসুদ, মাসুম ও রিয়াজ মাদকের রামরাজত্ব কায়েম করেছে সমগ্র আটঘর কুড়িয়ানায়।  অভিযোগ উঠেছে  শেখর চেয়ারম্যান  মাদক পরিবারকে   ত্রানের সরকারী  ঘর দিয়ে  বিতর্কিত।  নিয়ম নীতি ছাড়া বে- আইনি ভাবে গুন্ডা হিসাবে লালন পালন করে চেয়ারম্যানের নিজস্ব গুন্ডা বাহিনী হিসাবে। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামীর বিরুদ্বে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ  আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারনি ১০( ক) ধারায় মামলা হয়।
এ ব্যাপারে  এলাকার সুশীল সমাজ জেলার মিডিয়া কর্মীরা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে এলাকায় তিন গড ফাদার মাদক নিয়ন্ত্রন করেন।  বাদশার ছেলে মোঃ সজিব সহ  সজিবের স্ত্রী শারমিন  ও বাদশার আর এক ছেলে আবদুল্লাহ গংরা। এ চক্রের বিরুদ্বে টেকনাফ থানায় মাদক মামলাও রয়েছে। চলতি সময়ে বিশেষ খুটির জোরে রমরমা মাদক ব্যাবসা করে যাচ্ছে মাহামুদকাঠী এলাকায়। প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈদ মাদক ব্যাবসা করছে বীরদর্পে। এদিকে নেছারাবাদ থানার ওসি কামরুজ্জামাম তালুকদারের যোগ্য নেতৃত্বে মাদক নির্মূল করতে সাহসী বূমিকা পালন করে যাচ্ছে।  চলতি সময়ে পর পর ভালো ভালো কাজ করে নেছারাবাদ থানার   দক্ষ অফিসার মোঃ  তাজুল ও   উদিয়মান অফিসার মোঃ শরিফুল রয়েছে তুঙ্গে। সততার প্রতিফলন ঘটিয়ে আইনের রক্ষক হয়ে সুনাম ছড়াচ্ছে নেছারাবাদ থানার কর্মস্থলে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ