শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা ২৬ মার্চ

মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা ২৬ মার্চ

স্বদেশ ডেস্ক:

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

রোববার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার প্রাথমিক খসড়া আমাদের কাছে রয়েছে। বর্তমান তথ্যমতে, কোনো না কোনো তালিকায় অর্ন্তভুক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে দাবিদার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ২৮৫ জন।’

বর্তমানে ২ লাখ ১ হাজার ৪৬১ জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘একজনের নাম একাধিক দলিলে রয়েছে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম পাঁচ জায়গায় রয়েছে। যাদের নাম একাধিক তালিকায় রয়েছে তা বাদ দেয়ার কাজ চলছে। একই নাম একাধিক বানানে লেখার কারণে একাধিকবার সেসব নাম ছাপা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছায়ের প্রক্রিয়া তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, এর আগে আইন লংঘন করে ৪৪ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরে আইনের মধ্যে তালিকা প্রস্তুতের উদ্যোগ নেয়া হয়।

স্বাধনীতার পর গত ৪৮ বছরে ছয়বার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার বয়স, সংজ্ঞা ও মানদণ্ড পাল্টেছে ১১ বার।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ‘প্রকৃত’ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, আবেদনকৃত ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীক্ষণ এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে উপজেলা, জেলা/মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটি করেছে সরকার।
এ কাজে চারটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ঠিক হয়, ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, বেসামরিক গেজেট ও বাহিনীর গেজেট- এই চারটি তালিকার অন্তত একটিতে নাম থাকলে তবেই একজন ব্যক্তির নাম আসবে চূড়ান্ত তালিকায়।

এরপর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা চূড়ান্ত করতে সরকার সারা দেশে ৪৭০টি উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে। কিন্তু আইনি জটিলতায় অনেক কমিটির প্রতিবেদন তৈরি হতে সময় লেগে যায়।

আবার অনেক কমিটির প্রতিবেদনে অসঙ্গতি ও ভুলত্রুটি থাকায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আপত্তি আসায় অসঙ্গতি দূর করতে গঠন করা হয় আরেকটি কমিটি।

আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের শেষ বছর ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। কিন্তু নান জটিলতায় তা আর হয়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877