শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

বাতিল হতে পারে ঢাকায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক

বাতিল হতে পারে ঢাকায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক

স্বদেশ ডেস্ক:

আগামী ২৪-২৫ নভেম্বর ঢাকায় মালয়েশিয়া-বাংলাদেশের মন্ত্রীপর্যায়ের নির্ধারিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্থ সভাটি বাতিল হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার দায়িত্বশীল একজন নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে নয়া দিগন্তকে জানান, ঢাকায় ২৪-২৫ নভেম্বর দুই দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল সেটি মালয়েশিয়ার তরফ থেকে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। তবে কি কারণে বাতিল হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

এর আগে বায়রার অপর একজন ব্যবসায়ী নয়া দিগন্তকে জানান, মালয়েশিয়া থেকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসলে আসতেও পারে। তবে তাদের দলনেতা অর্থাৎ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলসেগানার এর না আসার আশঙ্কা রয়েছে। আর তিনি যদি বৈঠকে উপস্থিত না থাকেন তাহলে বাই লেটারার মিটিংয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ার সংসদ ভবনে দুই দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে প্রবাসী কল্যাণ সািচব মো: সেলিম রেজাসহ চারজন উপস্থতি ছিলেন। ফলপ্রসূ বৈঠকে মালয়েশিয়া এবার বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে শ্রমিক নেয়ার আগ্রহের কথা জানায়। পাশাপাশি এসপিপিএ সিস্টেম বাতিল করলেও কোন পদ্ধতিতে তারা এবার শ্রমিক নেবে তার জন্য আগামী ২৪-২৫ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চতুর্থ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। একই সাথে এই বৈঠকের পরই শ্রমবাজার খোলার একটি ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। গতকাল বেলা পৌণে ২টায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সেলিম রেজার সাথে বৈঠক বাতিল প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করলে তিনি টেলিফোন ধরেনি। একইভাবে অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহিনের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনিও টেলিফোন রিসিভ করেননি।

জনশক্তি রফতানিকারকদের ধারণা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছেন, এবার বিদেশী শ্রমিক আমদানিতে শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট যাতে না হয়। কিন্তু তার এই ঘোষণার বিরুদ্ধে দেশটির একাধিক গ্রুপ বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে সিন্ডিকেট করার লক্ষ্যে জোর লবিং করে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুই দেশ থেকেই। এটি তিনি মাহাথির মোহাম্মদ ভালোভাবে নেননি বলে দুই দেশের অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এখন সময়ই বলে দেবে মালয়েশিয়া সরকার আদৌ সিন্ডিকেটের বাইরের নতুন কোনো ফর্মুলায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে, না-কি পুরনো ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো নিয়মেই কর্মী যাবে?

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877