পিলখানা হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিদের জামিন আবেদনের ওপর আদেশের দিন আজ বৃহস্পতিবার।
আদালতের রায় শুনতে সকাল থেকেই কেরানিগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অবস্থান করছেন জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় তৎকালীন বিডিআরের ৩০০ সদস্যদের করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান আদালত।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিস্ফোরক আইনে জামিন পেয়েছেন ১৬৮ বিডিআর সদস্য৷
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন প্রায় আড়াইশ জন। এই মামলায় ১৩৪৪ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।আসামিদের স্বজনদের অভিযোগ, হত্যা মামলায় সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বিস্ফোরক মামলার বিচারকাজ বিলম্বিত করে আসামিদের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এ মামলার বিচারকাজ ঝুলে যায়।