স্বদেশ ডেস্ক:
সকালে চোখ খোলা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা দৌড়ঝাঁপের ওপরই থাকি। বাড়ি, অফিস সবমিলে থাকে হাজারো কাজ। আর এর জন্য শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা একান্ত জরুরি। তার মধ্যে শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আর এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কয়েকটি ভেষজ চা। চলুন সেসব কী কী জেনে নেওয়া যাক-
পুদিনার চা
পুদিনা পাতার অনেক উপকারিতা সম্পর্কেই জেনে থাকবেন। বিশেষ করে এটি শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে দারুণভাবে কাজ করে। এখানেই শেষ নয়, পুদিনা পাতা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই আপনার প্রতিদিনের পানীয়ের তালিকায় রাখতে পারেন পুদিনার চা। এই চা তৈরির জন্য পানি, পুদিনা পাতা ও মধু ফুটিয়ে নিলেই হবে।
ধনে পাতার চা
প্রতিদিন ধনে চা পান করা, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে। কারণ এটি শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
হলুদ চা
রান্নায় হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে সবারই জানা। আমাদের প্রায় সব ধরনের তরকারি রান্নায় প্রয়োজন পড়ে হলুদের। কিন্তু এই হলুদ দিয়ে তৈরি চা-ও সমান উপকারি। হলুদে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। যে কারণে এই চা পান করলে তা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পরে। দিনে একবার এই চা পান করলেই যথেষ্ট।
মরিঙ্গা চা
অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে মরিঙ্গা একটি ‘সুপারফুড‘ নামেও পরিচিত। আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি মরিঙ্গা চা পান করতে পারেন।
রসুন চা
রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। প্রতিদিন রসুন খেলে পাওয়া যায় অনেক উপকার। উপকারী এই ভেষজের আছে অনেক ঔষধি গুণ। যে কারণে রসুন খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে এই ভেষজ চা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। তাই নিয়মিত রসুনের চা পান করুন।
গ্রিন টি
গ্রিন টির ক্যাটেচিন, এপিগালোকাটেচিন গ্যালেট এবং অন্যান্য উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে। এগুলো খারাপ এলডিএল এবং মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা ইঁদুরকে ক্যাটেচিন এবং এপিগালোকাটেচিন গ্যালেটে মিশ্রিত পানি পান করেছিলেন। খাওয়ানোর পর ৫৬ দিন অপেক্ষা করেন। এরপর দেখা যায়, উচ্চ কোলেস্টেরল আছে এমন দুটি গ্রুপে ইঁদুরের মোট এবং এল ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেছে।