সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়া…….

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯

অর্পিতা দত্ত: দৈনন্দিন জীবনে পোশাক-আশাক ও নানা অনুষঙ্গ আমাদের ধুতে হয়। কিছু উপায় জানা থাকলে ধোয়ার কাজটা সহজ ও সুন্দর হয়। কাপড় থেকে শুরু করে নিত্যদিনের ব্যবহার্য কিছু জিনিস ওয়াশিং মেশিনে কিভাবে পরিষ্কারের করবেন-তা জেনে নিন-
শার্ট: শার্টের বোতাম খুলে নিন। অন্য কাপড়ের সঙ্গে লেগে শার্টের বোতামের ঘরগুলো বড় হয়ে বা ছিঁড়ে যেতে পারে। শার্টে সবচেয়ে ময়লা হয় কলারের দিকটা। তাই প্রতিবারই শার্ট ধোয়ার সময় গুরুত্ব দিতে হয় এই অংশটিতে। ঘাম, বডি অয়েলের দাগ লেগে কলার নষ্ট হয় বেশি। তাই পানি ও ডিটারজেন্টের সঙ্গে দাগ দূর করার উপাদান (স্টেইন রিমুভার) মিশিয়ে কলার ও হাতার নিচসহ দাগ লাগা অংশে লাগিয়ে নরম টুথব্রাশ দিয়ে ঘষুন। উঠে যাবে দাগ। এরপর পুরো শার্টটি ডিটারজেন্টে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
সোয়েটার: সুতি, সিন্থেটিক বা অন্যান্য কাপড়ের মিশ্রণে তৈরি সোয়েটার মাইল্ড ডিটারজেন্টের সাহায্যে ঠান্ডা বা উষ্ণ গরম পানিতে হাতে বা ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যেতে পারে। উলের কাপড় গরম পানিতে ধোয়া ঠিক নয়। খুব বেশিক্ষণ ডিটারজেন্ট পাউডারে ভিজিয়ে রাখবেন না, এতে উল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সোয়েটার ধোয়ার পর তা না চিপে তাতে চাপ দিয়ে যতটা সম্ভব পানি বের করে শুকাতে দিন। তবে কিছু উন্নত মানের ওয়াশিং মেশিনে উল অথবা হ্যান্ডওয়াশ সেটিং থাকে। উলের সোয়েটারে এমব্রয়ডারি, আলগা চুমকি, পাথর লাগানো না থাকলে এই সেটিং ব্যবহার করে ওয়াশিং মেশিনেই ধুয়ে নিতে পারেন। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সোয়েটার ধোয়ার সময় সাদা ভিনেগার ব্যবহার করা যায়।
মোজা: অনেক কাপড়ের সঙ্গে মোজা ধুলে তা হারিয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। তাই ওয়াশিং মেশিনে অন্য কাপড়ের সঙ্গে মোজা দেওয়ার আগে সেফটিপিনে আটকে দিন। মোজাজোড়া একসঙ্গেই থাকবে।
জিন্স: জিন্স সবসময় ঠান্ডা পানিতেই ধোয়া উচিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে ড্রাইওয়াশ বেশি কার্যকর। জিনসে তৈরি প্যান্ট, শার্ট বা অন্য কোনো পোশাক আলাদা ধোয়াই ভালো। এ ধরনের কাপড় উল্টো করে নিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ভেতকার ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। দাগ ওঠানোর জন্য ভালো মানের গুড়ো সাবান, লেবুর রস ইত্যাদি ব্যবহার করুন। জিনসের প্যান্টের ভেতরের অংশে সাদা ট্যাগে কোন পদ্ধতিতে প্যান্টটি পরিষ্কার করতে হবে, সে নির্দেশনা দেওয়া থাকে। ট্যাগটি ভালোভাবে পড়ে নিন। দীর্ঘদিন রং উজ্জ্বল রাখতে এক কাপ ভিনেগার এবং চার ভাগের এক কাপ লবণ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে তাতে প্যান্ট ভিজিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ভিনেগার এবং লবণের মিশ্রণ আপনার জিন্সের রংকে স্থায়ী করে তুলবে।
কম্বল: কম্বল ড্রাইওয়াশ করলে টেকসই হয়। ববলিন ওঠে না। ঘরেও মাইল্ড ওয়াশ করে কম্বল ধোয়া সম্ভব। কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু বা কম ক্ষারযুক্ত লিকুইড ডিটারজেন্ট মিশিয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানি ঝরিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। কম্বল নরম ও সুগন্ধময় করতে ধোয়ার পর আধা কাপ ক্লথ সফটনার লিকুইড পানিতে মিশিয়ে তা কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
টেবিল ক্লথ ও ন্যাপকিন: টেবিল ক্লথ ও ন্যাপকিনে ময়লা দাগ তুলতে স্টেইন রিমুভারে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
জুতা: জুতা পরিষ্কারে সবসময় ঠান্ডা পানি ব্যবহারই বাঞ্ছনীয়। ডিটারজেন্ট ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে পুরনো অব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। তবে চামড়ার জুতোয় পানি ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
খেলনা: কাপড়ে তৈরি খেলনাও ঠান্ডা পানিতে ধোয়া উচিত। পানিমিশ্রিত মাইল্ড ডিটারজেন্টে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন খেলনাটি।
খেয়াল রাখুন: ওয়াশিং মেশিনে রঙিন ও সাদা কাপড় এক সঙ্গে ধোবেন না। কোন কাপড় ধোয়ার আগে জেনে নিন কোন পদ্ধতিতে কতক্ষন মেশিনে ধুতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ