বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভারত-কানাডা উত্তেজনা: কে এই হারদীপ সিং

ভারত-কানাডা উত্তেজনা: কে এই হারদীপ সিং

স্বদেশ ডেস্ক:

হারদীপ সিং নামে এক শিখ নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে, শুরু হয়েছে উত্তেজনা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক হারদীপ সিং চলতি বছর জুনে কানাডায় খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকার জড়িত বলে অভিযোগ কানাডার। তবে মোদি সরকার সরাসরি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

গতকাল সোমবার কানাডার হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, যেকোনো কানাডীয় নাগরিককে হত্যা অগ্রহণযোগ্য ও আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। ট্রুডো বলেছেন, দিল্লির এজেন্টরা যে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত ছিলেন তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তবে ট্রুডোর এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

ট্রুডো মূলত ৪৫ বছর বয়সী শিখ নেতা হরদীপ সিংকে বুঝিয়েছেন। চলতি বছর ১৮ জুন সারেতে একটি শিখ মন্দিরের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর তিন বছর আগে ভারত তাকে `সন্ত্রাসী‘ বলে আখ্যা দিয়েছিল। হরদীপের দাবি ছিল শিখদের জন্য আলাদা স্বাধীন একটি রাজ্য গঠন হবে। পাঞ্জাবের খালিস্তানে এটি গড়ে তোলার দাবি তুলেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শিখ ধর্ম ছড়িয়েছে সবখানে।

কানাডায় শিখদের কর্মসূচি নিয়ে অনেকদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ভারত। এর আগে কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যক্রম নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল দিল্লি। সর্বশেষ মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘এই ভিত্তিহীন দাবি করে আসলে খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের ওপর থেকে দৃষ্টি সরানো হচ্ছে যাদের কানাডা আশ্রয় দিয়েছে।’

খালিস্তান এক্সট্রিমিজম মনিটরের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হরদীপ সিংয়ের জন্ম ১৯৭৭ সালে। ভারতের্ উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের জালান্ধার জেলায় জন্ম নেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তিনি কানাডায় চলে যান। সেখানে প্লাম্বার হিসেব কাজ শুরু করেন।

ভারতের জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার দাবি, পূর্বে হরদীপ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বাবার খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) এর সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত।

২০২০ সালে ভারতীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল হরদীফ খালিস্তান টাইগার ফোর্স নামে সশস্ত্র সংগঠনের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং সক্রিয়ভাবে এই সংগঠনের সদস্যদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

সেই বিবৃতিতেও হরদীপকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছিল ভারত। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে বলা হয়েছিল তিনি জাতির মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, খালিস্তান নামে স্বাধীন শিখ প্রদেশ গঠনে যারা দাবি জানিয়েছিল তাদের পক্ষে কাজ করে সুপরিচিত ছিলেন হরদীপ। কানাডার গুরু নানক শিখ গুরুদুয়ারার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও তাকে মনোনিত করা হয়েছিল। তিনি সেই শহরেই থাকতেন এবং এখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877