বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন

পুলিশ আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে: নুর

পুলিশ আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে: নুর

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে। তাদের মধ্যে নারী নেত্রীও রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর আহত নুর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ছেঁড়া গেঞ্জি পরেই কথা বলেন। কার্যালয়ে প্রবেশের সময় নুরের শরীরে সাদা রঙের পাঞ্জাবি ছিল। কিন্তু পরে তার শরীরে সেই পাঞ্জাবি আর দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছে, সেটা আপনারা দেখেছেন। এই দল ভাঙনে সরকার যে ষড়যন্ত্র করেছে, আজকে প্রমাণিত। পুলিশের সহযোগিতায় এই জামান সাহেব (গণঅধিকার পরিষদের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাসার মালিক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামান) আমাদের কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে, আমাদের মেয়ে মানুষের কাপড় ছিঁড়েছে। একাত্তরের সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো বস্ত্র হরণ করেছে। আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে।’

পুলিশের বাধার পরও তারা কার্যালয়ের সামনে নতুন করে লাগানো কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন নুরসহ অনেকেই। আহত নুরকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতা শাকিলুজ্জামান।

পুলিশের হামলার অভিযোগ তুলে নুর বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরে আহত। এখন তারা চিকিৎসা নেবে। একজন নেতাকর্মীকে যদি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা প্রত্যেকে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। আপনারা দেখছেন, আমাদের একজন নারী সহকর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন।’

তবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান আমাদের সময়কে বলেন, ‘দুই পক্ষ সারা দিন মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সংঘর্ষ ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।’

বিনা উসকানিতে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে লাঠিপেটা করা হয়নি। এখানে সাংবাদিকরা লাইভ করেছেন। লাঠিচার্জ করা হলে সেটা সবাই দেখত। আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এখানে অবস্থান নিয়েছি।’

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ দাবি করেন, ‘আজ সকালে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের (রেজা কিবরিয়া অংশের যুগ্ম আহ্বায়ক) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যায়। তখন তারা কার্যালয়ের তালা ভেঙে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় এবং কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যায়। সেই সময় তারা ঘটনাস্থলে থাকা দলের ২-৩ জন কর্মীর ফোনও কেড়ে নেন।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877