ব্রণ এক মহাযন্ত্রণার নাম। এটি যদি কারো ওঠে, তা হলে (হোক সে ছেলে বা মেয়ে) মানসিক যন্ত্রণার কমতি থাকে না। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে এ রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। তবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্তও কারো কারো ব্রণ হতে দেখা যায়।
টিনএজারদের মধ্যে ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি এটি হয়ে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এটি তুলনামূলকভাবে কমতে থাকে। সাধারণত মুখে; যেমন-গাল, নাক ও কপালে ব্রণ দেখা যায়। ব্রণ হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে বংশগত প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ডক্সিসাইক্লিন : এ ক্ষেত্রে ডক্সিসাইক্লিন একটি চমৎকার ওষুধ। এ ছাড়া এরিথ্রোমাইসিন খেয়ে যদি ব্যাকটেরিয়া রেজি-স্ট্যান্ট হয়, সে থেকে ডক্সিসাইক্লিন কার্যকর ওষুধ।
এরিথ্রোমাইসিন বা ক্লিলনডামাইসিন : গর্ভবতীরা যখন টেট্রাসাইক্লিন খেতে পারেন না, তখন এরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্লিনডামাইসিনও অন্য ওষুধের মতো কার্যকর।
হরমোন থেরাপি : নারীদের ক্ষেত্রে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যদি ওভারি থেকে এন্ডোজেন হরমোন তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে কম ডোজের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি মুখে খাওয়া যাবে, যাতে থাকতে হবে নন-এন্ডোজেন প্রজেসটিন, যা ভূমিকা রাখে। তবে যে ওষুধই সেবন করুন না কেন, তা ডাক্তারের পরামর্শেই খেতে হবে।
লেখক : সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা। ০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৮১৯২১৮৩৭৮