বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে আর আইনি জটিলতা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। এত দিন নিষিদ্ধ ঘোষণা না থাকায় অনেক সময় মাঠপর্যায়ে গ্রেপ্তার নিয়ে দোটানায় থাকতেন কর্মকর্তারা। এখন
কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তে না জড়িয়ে রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়ায় থাকবে বিএনপি। এ জন্য আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে সরাসরি জড়ায়নি দলটি। সরকারের প্রশাসনিক আদেশের পরিবর্তে আইনি প্রক্রিয়াকে
অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল শনিবার (১০ মে) আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এবারই প্রথম কোনো দলকে নিষিদ্ধ না
আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর আগে ১৯৫৮
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। দাবি আদায়ে ‘সর্বদলীয় জনমত’ গঠনের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোর পাশাপাশি ডান, বাম, ইসলামি ছাড়াও ছোটবড়, নতুন-পুরোনো সব
আবারও ঘোলাটে হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। নির্বাচন, সংস্কার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ ইস্যুতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন, সংস্কার এবং গণহত্যা-ফ্যাসিবাদে জড়িতদের বিচার ও নিষিদ্ধকরণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর
শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত, চরম দাম্ভিকতা এবং ক্ষমতালোভী স্বৈরশাসনের কারণে আওয়ামী লীগ ধ্বংসের মুখে। তার কর্মের কারণে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকেও পলাতক