স্বদেশ ডেস্ক:
ঠাকুরগাওঁয়ের পীরগঞ্জ উপেজেলায় বদরুল হুদা নামে এক সহযোগী অধ্যাপকের যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এক ছাত্রীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
তবে এ ঘটনাটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুল হুদা। এ ছাড়া একটি স্বার্থান্বেশী মহল বিষয়টিকে বানিয়ে প্রচার করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে বলেও দাবি তার।
স্থানীয় বাসিন্দা, কলেজ ও অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, সম্প্রতী কলেজের এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়ার কথা বলে নিজের ঘরে ডেকে নেন বদরুল হুদা। এ ছাড়া তার বন্ধুর স্থানীয় একটি শিশু পার্কের খাস কামরায় নিয়ে গিয়েও ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন। একই সঙ্গে ঘটনাগুলোর ভিডিও চিত্র মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে রাখেন তিনি।
আরও জানা গেছে, ভালো নম্বর দেওয়াসহ নানা প্রলোভনে কলেজের অন্যান্য সুন্দরী ছাত্রীদের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই সহযোগী অধ্যাপক। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রেখে ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইলও করতেন। এসব ঘটনার ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেট ও ফেসবুকে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে তাদের সঙ্গে বারবার শারীরিক সম্পর্ক করতেন তিনি।
লোক লজ্জার ভয় ও পরীক্ষার ভালো নম্বরের আশায় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা হলেও বদরুল স্থানীয় শিক্ষক হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করেননি।
সম্প্রতি এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বদরুলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার অবাধ যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
আলোচনা-সামলোচনা হলেও বিষয়টিতে কোনো বিকার নেই বদরুল হুদার। এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কলেজে কেউ তো অভিযোগ করেনি। মুখের কথার কোনো ভিত্তি নেই। আগে অভিযোগ হোক, তারপর দেখা যাবে।’
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশীদ এ ব্যাপারে জানান, থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তাই এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।