স্বদেশ ডেস্ক:
ঈদুল আজহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে মহিমান্বিত উৎসব। এ ঈদে খুশি, ত্যাগ, তাকওয়া ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে একটু সচেতনতাও জরুরি। তা হলে কোরবানি আসবে জীবনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে। কোরবানির ঈদ মানে মাংস খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। তবে সুস্থ থাকতে একটু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে মাংস খাওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন, তাদের খাওয়ার ইচ্ছাটা জাগে বেশি। তাই যারা কোরবানির গরুর মাংস খাবেন, খেলেও কী পরিমাণ খাবেন, তা আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো।
রোগীর সচেতনতা : হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির যেসব বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত তা হলো- প্রাণিজ মাংস বিশেষ করে রেড মিট বা লাল মাংসে থাকে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ফ্যাট শরীরের আর্টারিগুলোর দেয়ালে প্লাকের সৃষ্টি করে। এসব রক্তনালিগুলোর ভেতরে জমা থেকে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ ছাড়া এসব শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে এসব মাংস একটু কম পরিমাণে খেলে ভালো হয়।
চর্বিযুক্ত মাংস ক্যানসার রোগীর জন্য ক্ষতিকর : রেড মিটে হেমি (যবসব) নামক এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে। এটি শরীরের ভেতরে বিক্রিয়া করে কার্সিনোজেনিক এন-নাইট্রিসো পদার্থে রূপান্তরিত হয়। ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর রেড মিট খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সতর্কতা : যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তারা বিশেষ করে এ ঈদে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। আপনার দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে যতটুকু মাংস বরাদ্দ থাকে তার থেকে বেশি মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গর্ভবতীর কোরবানির মাংস খাওয়া : গর্ভবতীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোরবানির মাংস যেন পুরোপুরি সিদ্ধ হয় এবং খুব ভালোভাবে রান্না করা হয়। আধাসিদ্ধ বা একেবারে কাঁচা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাসি এবং অতিরিক্ত মাংস খাওয়া উচিত নয়।