স্বদেশ ডেস্ক:
কাশ্মীর নিয়ে ভারত যা করেছে, সে বাস্তবতাকে মেনে নিতে ইসলামাবাদকে আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। একই সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে গোটা বিশ্বকে ভুল বোঝানো বন্ধ করতেও বলেছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র রাভিশ কুমার গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
রাভিশ কুমার বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রের পদক্ষেপে পাকিস্তান ঘাবড়ে গেছে; কেননা কাশ্মীরে যদি উন্নয়ন হয় তা হলে তো পাকিস্তান তাদের ভুল বোঝাতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি এটাও বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে যা করা হচ্ছে তা সেখানকার অধিবাসীদের প্রয়োজনের কথা ভেবেই করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলাচল করা ট্রেন সমঝোতা এক্সেপ্রেস বন্ধ করে দেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন ভারতের ওই কূটনীতিক। এর আগে দিল্লি ইসলামাবাদের একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গত সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। সেখানে অতিরিক্ত হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। চার দিন পর গতকাল কারফিউ কিছুটা শিথিল হলেও পরবর্তীতে আবার কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কূটনীতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে।
‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জাতিসংঘের : কাশ্মীর ইস্যুতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। গত বৃহস্পতিবার তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতেও দেশদুটিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করলেও পাকিস্তান এটিকে সব সময় দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে উপস্থাপন করেছে। ইসলামাবাদ বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে না পাকিস্তান : এদিকে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে নানা পদক্ষেপ নিলেও সামরিক উপায়ে সমাধানের পথ দেখছে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি গত বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন। তবে গতকাল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা জেনারেল গফুর এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত কোনো ‘ভুল পদক্ষেপ’ নিলে সেটার শক্ত জবাব দেওয়া হবে।